টাইব্রেকারে পরপর দুটি শট আটকে দেয়ার মাধ্যমে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদকে বেশ সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে রেখেছিলেন জান অব্লাক। সমীকরণ এমন হয়ে উঠেছিল, যেন ইন্টার মিলান তাদের পঞ্চম শট মিস করলেই পরাজয় তাদের, আর জয় অ্যাতেলিকোর। আর শেষ শটটি নিতে এসে নাজুক অবস্থা তৈরি করে ফেলেন লাউতারো মার্তিনেস।
আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের শটটি ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়। আর ম্যাচে জয় লাভ করার উচ্ছ্বাস দৌঁড়ে উদযাপন না করে ডি বক্সের মধ্যে দাঁড়িয়ে হাঁসছিলেন অব্লাক। হয়তো তিনি কখনো ভাবেননি যে মার্তিনেসের শট এভাবে এতটা উপর দিয়ে যাবে।
টাইব্রেকারের পর প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জয় পায় অ্যাতলেতিকো। ফলে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটের লড়াইয়ে পৌঁছে গেল দিয়েগো সিমিওনের দল। আর গতবারের রানার্স আপ হওয়া ইন্টার শেষ ষোলতেই যাত্রা থামাল এবার।
প্রথম লেগ ইন্টারের মাঠ থেকে ১-০ গোলে পরাজিত হওয়ার কারণে ফিরতি লেগে ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটনে স্বাগতিকদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল দুই গোল। এ লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামলেও শুরুতে গোল খেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে দলটি। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে ফেদেরিকো ডিমারের্কা গোল করলে এগিয়ে যায় ইন্টার। কিছুটা স্বস্তি ফিরে পায়। নিকোলা বারেল্লার কাটব্যাকে ইতালিয়ান এই ফরোয়ার্ড যেন সহজেই জাল খুঁজে পান। তবে অ্যাতলেতিকোর ম্যাচে ছন্দে ফিরতে সময় লেগেছে মাত্র দুই মিনিট। আন্তোয়ান গ্রিয়েজমান দুর্দান্ত আক্রমণে লক্ষ্যভেদ করেন।
দুই লেগ মিলিয়ে এগিয়ে থাকার কারণে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণাত্বক কৌশল অবলম্বন করে ইন্টার। ওদিকে গোলের জন্য মরিয়া অ্যাতলেতিকা। দিয়েগো সিমিওনে একাধিক খেলোয়াড় বদলি করেন দলটি। কিন্তু মাঠে নামার কয়েক মিনিট পরই মেম্পাস ডিপাই আশাহত করেন। দুর্দান্ত গতিতে শট করলেও সেটি পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তবে কিছুক্ষণ পরই ফের ঘুরে দাঁড়ান এই ডাচ ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে কোকের বাড়িয়ে দেয়া বল নিখুঁত ফিনিশিংয়ে জালে পাঠিয়ে ম্যাচ গড়িয়ে নেন অতিরিক্ত সময়।
ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ও অবশ্য যোগ হতো না, যদি না যোগ করা শেষ মিনিটে সুযোগ নষ্ট না করতেন অ্যাতলেতিকোর রদ্রিকো রিকেলমে। বক্সে বল পাওয়ার পর শট করলে সেটি চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে। অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটেও সমতা থাকে। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। আর সেখানেই রোমাঞ্চকর জয় পেয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ।