পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন বেসরকারিভাবে ১০২টি আসনে জয়ী হয়েছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। পাকিস্তানের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্যে ১৩৩ আসনে জয়ের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে দলটি। এ জন্য পিটিআইয়ের আর মাত্র ৩১টি আসন দরকার। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ খবর জানিয়েছে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের থেকে ২৯টি আসন কম পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন)। দলটি পেয়েছে ৭৩টি আসন। অন্যদিকে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতারা তির প্রতীক নিয়ে ৫৪টি আসনে জয়ী হয়েছেন।
পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলী খান জানিয়েছেন, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভী সরকার গঠনে পিটিআইকে আমন্ত্রণ জানাবে। জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন- তাই সংবিধান অনুযায়ী তাদের সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
এদিকে পিটিআই সমর্থিতদের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও নওয়াজ শরিফ বলছেন, এই নির্বাচনের সবচেয়ে বড় দল পাকিস্তান মুসলিম লীগই (পিএমএল-এন)। তিনি আশা করেছেন, এ কারণে অন্যরা তার সঙ্গে যোগ দিয়ে সরকার গঠন করবেন।
এবারের নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে যে দলই সরকার গঠন করুক না কেন তাদের জোট গঠন করতে হবে। তবে কোন দলের নেতৃত্ব জোট গঠিত হবে—এবং সর্বোচ্চ আসনে জয় পাওয়া ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে জোট হবে কি না, সেটি এখন দেখার বিষয়।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইমরান পন্থিদের সরকার গঠন আটকাতে ক্ষমতা ভাগাভাগিতে রাজি হয়েছে নওয়াজ ও বিলওয়াল ভুট্টোর দল। পিএমএল-এন প্রেসিডেন্ট ও নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ বিলওয়াল ভু্ট্টো ও তার বাবা সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
জানা যায়, পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের বাসায় পাকিস্তান পিপলস পার্টির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শাহবাজ শরিফ। এ সময় সরকার গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন পেয়েও বেশ বিপাকে রয়েছেন ইমরান সমর্থিত প্রার্থীরা। কারণ, দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারায় তারা সংরক্ষিত আসন পাবেন না। ফলে পিটিআই’র পক্ষে সরকার গঠন করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, স্বতন্ত্ররা তিন দিনের মধ্যে যেকোনো দলে যোগ দিয়ে সরকার বা বিরোধী দল গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবেন।