আইপিএলে ব্যাটিং তাণ্ডব চালাচ্ছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। একের পর এক রেকর্ড ভাঙা হায়দরাবাদ এরই মধ্যে পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে উঠে এসেছে। অন্যদিকে, চারে নেমে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস।
চলতি আইপিএলে মিশ্র অভিজ্ঞতা চেন্নাইয়ের। ঘরের মাঠে দাপুটে পারফরম্যান্স উপহার দিতে পারলেও চেন্নাইয়ের বাইরে যেন অতি সাধারণ এক দল। এখন পর্যন্ত যে তিনটি ম্যাচ হেরেছে মুস্তাফিজরা, সবকটিই চেন্নাইয়ের বাইরের মাঠে।
আইপিএলের অর্ধেকের মতো ম্যাচ শেষ। এখনো পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে রাজস্থান রয়্যালস। সঞ্জু স্যামসনের দল সাতটি ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ছয়টিতেই। তাদের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে হায়দরাবাদ। প্যাট কামিন্সেরা সাতটি ম্যাচ খেলে জিতেছে পাঁচটিতে। তাদের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে কেকেআর। শ্রেয়াস আইয়াররা ৬টি ম্যাচ খেলে চারটিতে জয় পেয়েছে।
কেকেআরের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। সমান পয়েন্ট রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস এবং লখনৌ সুপার জায়ান্টসেরও। নেট রান রেট ভালো থাকায় তৃতীয় স্থানে কলকাতা। কেকেআরের নেট রান রেট ১.৩৯৯। চেন্নাই এবং লখনৌ সাতটি করে ম্যাচ খেলেছে। নেট রান রেটের নিরিখে তারা রয়েছে যথাক্রমে চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে। রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দলের নেট রান রেট ০.৫২৯। অন্যদিকে, লোকেশ রাহুলদের নেট রান রেট ০.১২৩।
পয়েন্ট তালিকায় ষষ্ঠ এবং সপ্তম স্থানে রয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালস। দু’দলের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। মুম্বাই সাতটি ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে তিনটিতে। হার্দিক পান্ডিয়ার দলের নেট রান রেট -০.১৩৩। একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে সৌরভ গাঙ্গুলীর দিল্লি। রিশভ পন্থেরা আটটি ম্যাচ খেলে তিনটি ম্যাচ জিতেছে। তাদের নেট রান রেট -০.৪৭৭। ৬ পয়েন্ট নিয়েও অষ্টম স্থানে রয়েছে গুজরাট টাইটান্স। শুভমান গিলের দল সাতটি ম্যাচ খেলে তিনটি জিতেছে। তাদের নেট রান রেট -১.৩০৩।
পয়েন্ট তালিকায় নবম এবং দশম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে পাঞ্জাব কিংস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। শিখর ধাওয়ানের পাঞ্জাব সাতটি ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে দু’টিতে। তাদের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। সবার নিচে বিরাট কোহলিরা। সাতটি ম্যাচ খেলে এখনও পর্যন্ত একটি জয় পেয়েছে বেঙ্গালুরু।