তুর্কি নাগরিক সুলতান কোসেনের উচ্চতা ৮ ফুট ২ দশমিক ৮ ইঞ্চি। বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা পুরুষ তিনি। অন্যদিকে সবচেয়ে কম উচ্চতার ২ ফুট ৭ ইঞ্চির জ্যোতি আমেজের বাড়ি ভারতে। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ায় দ্বিতীয়বার দেখা হয়েছে তাদের। এর আগে ২০১৮ সালে তাদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল।
দিনকয়েক আগে ফটো সেশনে অংশ নিয়েছিলেন গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের দুই অন্যতম সদস্য সুলতান ও জ্যোতি।
বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মানুষ হিসেবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে সুলতানের নাম নথিভুক্ত হয় ২০০৯ সালে। এরপর থেকে তার উচ্চতা বেড়েছে আরও ২ ইঞ্চি। সুলতান পেশায় একজন কৃষক। তিনি তুর্কি ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় কথা বলতে পারেন না। তাই বিশ্ববাসীর কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাদের সর্বদা একজন অনুবাদকের প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে, জ্যোতি হিন্দি, মারাঠি এবং কিছুটা ইংরেজি বলতে পারেন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে সুলতানের উচ্চতাকে স্বাভাবিক বলা যায় না। চিকিৎসার ভাষায়, তিনি অ্যাক্রোমেগালিতে ভুগছেন। এটি পিটুইটারি গ্রন্থিতে টিউমারের কারণে হয়। এই টিউমার গ্রোথ হরমোনকে স্বাভাবিক থাকতে দেয় না এবং যখন এই ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, তখন দৈত্যের মতো উচ্চতা বেড়ে যায় এবং এর কারণে উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
২০১১ সালে সুলতান ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে গিয়েছিলেন। সেখানে তার চিকিৎসা করার পর তার উচ্চতা বৃদ্ধিও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সুলতানের কব্জি এবং মধ্যমা আঙুলের মধ্যে ১১.২২ ইঞ্চি দূরত্ব রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাতের তালুর রেকর্ডও তার দখলে। এ ছাড়া তার পায়ের আঙুলও সবচেয়ে বড়। অন্যদিকে জ্যোতির উচ্চতা সুলতানের উচ্চতার এক চতুর্থাংশ।
জ্যোতির উচ্চতা স্বাভাবিক নয় কেন
জ্যোতি আমেজে একজন অভিনেত্রী। তার উচ্চতা ২.৭ ফুট। চিকিৎসার পরিভাষায় বলা যায়, জ্যোতির অ্যাকোনড্রোপ্লাসিয়া নামে একটি রোগ রয়েছে। এটি উচ্চতার অভাব সম্পর্কিত একটি বিশেষ রোগ। জ্যোতি ২০১১ সালে তার ১৮তম জন্মদিন উদযাপনের সময় তার নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে সবচেয়ে খাটো উচ্চতার নারী হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছিল। এরপর ২০১৪ সালে জ্যোতি আমেরিকান টিভি শোতেও উপস্থিত হয়েছেন। ২০১৮ সালে মিশর পর্যটন প্রচার বোর্ড তাকে সুলতানের সঙ্গে একটি ইভেন্টের জন্য আমন্ত্রণ জানায়। এরপরেই ২০১৮ সালে মিশরে দেখা হয়েছিল দুজনের।