ম্যাচটা জিতলেই আরব আমিরাত চলে যাবে গ্রুপ ‘বি’ এর শীর্ষে। আর সেটাই সুযোগ করে দেবে বৈশ্বিক কোয়ালিফায়ারে খেলার জন্য। কিন্তু কাতারের বিপক্ষে ম্যাচে হানা দিল বৃষ্টি। ফলাফল বের করে আনতে আরব আমিরাতের মেয়েরা বের করলেন অদ্ভুতুড়ে এক বুদ্ধি।
ক্রিজে গিয়েছেন আর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে আউট হয়েছেন। আরব আমিরাত নারী দলের স্কোর ১৯২ রানে ০ উইকেট থেকে নিমিষেই হয়ে যায় ১৯২ রানে ১০ উইকেট। ঝুঁকিটা কাজে লেগেছে তাদের জন্য। কাতারের নারী দল অলআউট হয়েছে মাত্র ২৯ রানে। আর জয় নিয়ে আরব আমিরাতের মেয়েরা নিশ্চিত করেছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আঞ্চলিক বাছাইপর্বের সুপার থ্রি।
এমন ঘটনা ঘটেছে আগামী বছরের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্বে। যেখানে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছে আরব আমিরাত নারী দলের এমন অদ্ভুতুড়ে রিটায়ার্ড হার্টের কীর্তি।
জিততেই হবে এমন এক সমীকরণের ম্যাচে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভর করে ১৬ ওভারে ১৯২ রান চলে গিয়েছিল আরব আমিরাতের মেয়েরা। অধিনায়ক ইশা ওঝা ৫৫ বলে করেছেন ১১৩ রান। আরেক ওপেনার তীর্থ সতিশ করেন ৪২ বলে ৭৪ রান। ম্যাচের এই পর্যায়ে হানা দেয় বৃষ্টি। তাতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে। সঙ্গে আরেকদফা বৃষ্টিতে খেলা ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনাও দেখা দেয়।
ম্যাচ পরিত্যক্ত হতে পারে– এমন শঙ্কায় আরব আমিরাতের মেয়েরা এরপর বের করলেন অভিনব বুদ্ধি। কাতারের মেয়েদের বিপক্ষে ১৯২ রানই ছিল যথেষ্ট। তাই বৃষ্টি থামতেই একে একে ক্রিজে গিয়ে রিটায়ার্ড আউট হয়েছেন আমিরাতের মেয়েরা। যেহেতু টি-টোয়েন্টিতে ইনিংস ঘোষণার সুযোগ নেই, তাই রিটায়ার্ড আউট হওয়াটাই ভরসা। এক পলকে ১৯২/০ থেকে স্কোর হয়ে যায় ১৯২/১০। এমন অদ্ভুতুড়ে সিদ্ধান্তের কারণে ৯ জন ব্যাটার আউট হয়েছেন ০ রানে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দূর্বল প্রতিপক্ষ কাতার বড় কিছু করতেই পারেনি। ১১.১ ওভারে ২৯ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। আরব আমিরাতের নারী দল জয় পায় ১৬৩ রানে। আর ২ পয়েন্ট নিয়ে চলে যায় গ্রুপ-বি এর শীর্ষে। তিন গ্রুপের শীর্ষে থাকা তিন দল খেলবে সুপার থ্রি পর্ব। যেখান থেকে দুই দল জায়গা করে নেবে বৈশ্বিক কোয়ালিফায়ারে।