এই গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। সারারাত ঘুম হচ্ছে না। তার মধ্যে লোডশেডিংও বাড়ছে। এ অবস্থায় ঘরের মধ্যেও টেকা যাচ্ছে না। তার ওপর দিনের বেলায় ক্লান্তি মারাত্মক বাড়ছে। এ রকম অবস্থা সামাল দিতে অনেকেই সারাদিন এসি চালিয়ে রাখছেন। কিন্তু তাতে বিদ্যুতের খরচ অনেক বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু জানেন কি, কয়েকটি সহজ রাস্তা অবলম্বন করলে, ঘরের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
মনে রাখবেন, কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই ঘরের তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমানো যেতে পারে। জেনে নিন, এমনই সহজ কয়েকটি রাস্তা। এগুলো মেনে চললে হয়তো আপনার রাতের ঘুম আর একটু ভালো হতে পারে।
জেনে নিন ঘর ঠান্ডা রাখার কয়েকটি টিপস-
শোওয়ার ঘরে কেমন আলো: মনে রাখবেন, আলো ঘরের তাপমাত্রা কিছুটা হলেও বাড়িয়ে দেয়। তা যদি এলইডি হয়, সেটিও তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই শোওয়ার ঘরে যতটা কম পাওয়ারের আলো লাগান। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। সম্ভব হলে একদম কম পাওয়ারের আলো জ্বালান এই ঘরে।
ভারী পর্দা ব্যবহার করুন: শোওয়ার ঘরের দরজা এবং জানলায় ভারী পর্দা লাগান। দরজা-জানলা খোলা রাখা অবস্থায় এই পর্দা টেনে দিন। এতে বাতাস চলাচল করবে ঠিকই, কিন্তু তাপ কম আসবে। এতে ঘর কিছুটা হলেও ঠান্ডা থাকবে।
বরফের ব্যবহার: একটি পাত্রে কিছুটা বরফ নিন। সেটি ফ্যানের নিচে বা টেবিল ফ্যানের সামনে রেখে দিন। এতে গরমে ঘরের বাতাস কিছুটা ঠান্ডা হতে পারে। তবে এর সামনে বসবেন না। সেক্ষেত্রে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।
সকালে দরজা খোলা, জানলা বন্ধ: দিনের বেলা ঘরের দরজা খুলে রাখুন। কারণ, দরজা বন্ধ রাখলে ঘর গুমোট হয়ে যাবে। আর জানলা রাখুন বন্ধ। রাতের বেলা জানলা খুলে দিন, এতে বাতাস আসবে। রাতে সম্ভব হলে দরজাও খুলে রাখুন। তাতে ঘর আরও কিছুটা ঠান্ডা থাকবে।
অ্যাডজাস্ট ফ্যান ব্যবহার করুন: ছোট ফ্ল্যাট হলে বাথরুম আর রান্নাঘরে দরকার মতো এগজস্ট পাখা চালিয়ে রাখুন। এতে বাড়ির ভিতরে হাওয়া চলাচল ভালো হবে। তাতে গরমের অনুভূতি কিছুটা কমবে।
রোহিতের দৃষ্টিতে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ক্রিকেটকে যেভাবে ক্ষতি করছে
সুতির চাদর: ঘরে সুতির চাদর ব্যবহার করুন। এই ধরনের চাদরই বিছানায় পাতুন বা সোফার কভার হিসাবে ব্যবহার করুন। এই নরম চাদর তাপ এখটু কমায়। এতে ঘর ঠান্ডা থাকতে পারে সামান্য হলেও।