নিউজিল্যান্ড সফরে সৌম্য সরকারের দলে জায়গা পাওয়াটাই ছিল একপ্রকার বিস্ময়। কোথাও এমন কোনো পারফর্ম করেননি যে জাতীয় দলে আবার ফিরতে পারেন। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরে প্রথম ওয়ানডেতেই হয়েছিলেন চরম ব্যর্থ। তবে সেই ম্যাচের দিন তিনেকের মাথায় যা করলেন, রাজকীয় প্রত্যাবর্তন বলাই যায়। নেলসনে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ১৫১ বলে ২২ চার ও দুই ছক্কায় করেন ১৬৯ রান! ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারকে পেছনে ফেলে নিউজিল্যান্ডের মাঠে এশিয়ান ব্যাটারদের মধ্যে এখন যা সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
এমন অনবদ্য ইনিংসের ছাপ পড়েছে আইসিসির র্যাঙ্কিংয়েও। বাঁহাতি এই ওপেনার ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন ৫২ ধাপ। অবশ্য ৫২ ধাপ এগোলেও এখনো আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ১০০–এর মধ্যে ঢুকতে পারেননি সৌম্য। বর্তমানে তার অবস্থান ১১১তম। সৌম্যর ক্যারিয়ার–সেরা র্যাঙ্কিং ১৪তম।
দ্বিতীয় ম্যাচে রেকর্ড ইনিংসের পর শেষ ওয়ানডেতে ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে সৌম্য শিকার করেছেন ৩ উইকেট। পরে তার ব্যাটিংয়েই নামার আগেই ৯ উইকেটের বড় জয় পায় বাংলাদেশ।
সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজের পারফরম্যান্সে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন শান্ত ও শরিফুলরাও। তৃতীয় ওয়ানডেতে অপরাজিত ৫১ রান করে ৯ ধাপ এগিয়ে যৌথভাবে ৮৯তম টাইগার অধিনায়ক শান্ত। এ ছাড়া পেসার শরীফুল ইসলাম ২৪ ধাপ এগিয়ে এখন ৩৫তম স্থানে।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/%e0%a6%ac%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a7%81%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%a1%e0%a6%bc-%e0%a6%af%e0%a7%87/
এদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে ইংল্যান্ড হেরে গেলেও ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন ওপেনার ফিল সল্ট। মোট রান করেছিলেন ৩৩১। দ্বিপক্ষীয় কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজে যেটি সর্বোচ্চ। এমন এক সিরিজ শেষে টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে ১৮ ধাপ এগিয়ে ২ নম্বরে উঠে এসেছেন সল্ট। তার রেটিং পয়েন্ট ৮০২। যদিও শীর্ষে থাকা সূর্যকুমার যাদবকে আপাতত ছোঁয়া সম্ভব নয়। তার রেটিং পয়েন্ট ৮৮৭।