কানপুরের টেস্টে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল আগে থেকেই। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের ভভিযোগ এনে হিন্দু মহাসভা নামের এক সংস্থার পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিল হুমকি। যে কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল উত্তর প্রদেশের এই শহরে পা রাখার পর থেকেই ছিল বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অনেকটা রাষ্ট্রীয় অতিথির মতোই তিন স্তরের নিরাপত্তা পেয়েছিলেন তারা।
এরইমাঝে মাঠে গড়িয়েছে প্রথম দিনের খেলা। বৃষ্টির কারণে অবশ্য দিনের খেলার ইতি টানতে হয়েছে অনেকটা আগেভাগে। কানপুরে বাংলাদেশ দলের নিরাপত্তায় এদিনও ছিল ব্যাপক আকারের পুলিশের উপস্থিতি। সেইসঙ্গে ছিল বিশেষ বানর বাহিনী। ক্রিকেট দেখতে আসা সমর্থক আর সম্প্রচারের দায়িত্বে থাকা ক্যামেরাপার্সনদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছিল এই বানর দলের কাজ।
মূলত কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে ব্যাপক বানরের উৎপাতের অভিযোগ আছে। গ্যালারিতে থাকা দর্শক আর মাঠের প্রান্তে থাকা ক্যামেরা পার্সনরা রীতিমত বিরক্ত স্থানীয় বানরদের কারণে। খাবার-মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এর আগেও। সেসব থামাতেই এবার ‘লাঙ্গুর’ প্রজাতির বানর এবং বানরপোষা মানুষদের ভাড়া করেছে উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, মাঠে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী থাকার পরেও খাবার ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া বানরদের জন্য আলাদাভাবে লাঙ্গুর জাতের বানর এবং তাদের পোষক মালিকদের আনা হয়েছে। মাঠের দায়িত্বে থাকা সঞ্জয় কাপুর বিষয়টি ভারতীয় গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ম্যাচ শুরুর প্রস্তুতিপর্বেই এই স্টেডিয়ামকে নিয়ে দেখা দিয়েছিল নতুন শঙ্কা। ভারতের উত্তর প্রদেশের পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (পিডব্লিউডি) কানপুর স্টেডিয়ামের গ্যালারির একটি স্ট্যান্ডকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা দেয়। গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের বেলকনি ‘সি’ নিয়ে এই শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কর্মকর্তাদের ধারণা, গ্যালারির ওই অংশে লোক সমাগম হলে পুরো জায়গাটি ধসে পড়তে পারে।
এমনকি বৃষ্টি শঙ্কা ও বৈরী আবহাওয়ার মাঝে গ্যালারির ওই অংশ বরাবর থাকা ফ্লাডলাইন ব্যবহার করা যাবে কি না তা নিয়েও তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। এমনকি মাঠের ভিআইপি গ্যালারির ওপরদিকে থাকা ফ্লাডলাইটের ৮টি বাল্ব নষ্ট বলেও জানানো হয়েছে।