হেপাটাইটিস মানে যকৃত বা লিভারের প্রদাহ। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। হেপাটাইটিসের কারণ মূলত নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণ। হেপাটাইটিস হেপাটাইটিস এ, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, ডি এবং হেপাটাইটিস ই ভাইরাসের কারণে হয়। বর্তমানে শিশুরা হেপাটাইটিস এ ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে। দূষিত পানি আর খাবার থেকে হেপাটাইটিস এ ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হয়। সুস্থ শিশু দূষিত খাবার বা পানি পান করার মাধ্যমে হেপাটাইটিস এ ভাইরাস শরীরের প্রবেশ করে। যা পরবর্তীতে যকৃত বা লিভারের প্রদাহ সৃষ্টি করে।
এক বছরে চিকিৎসা নেওয়া শিশুদের ৮০ ভাগই হেপাটাইটিস-এ ভাইরাসে আক্রান্তএক বছরে চিকিৎসা নেওয়া শিশুদের ৮০ ভাগই হেপাটাইটিস-এ ভাইরাসে আক্রান্ত
শিশুরা রাস্তাঘাটে অনাবৃত খাবার খেয়ে থাকে। স্কুলের সামনে ফুচকা, চটপটি, আচারসহ বিভিন্ন খাবার শিশুদের অনেক প্রিয়। এ ছাড়া রাস্তাঘাটের বিভিন্ন ধরণের জুসও শিশুরা খায়। এসব খাবারের মাধ্যমে শরীরে এ রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। হেপাটাইটিস এ ভাইরাস রয়েছে, এমন কোনও জিনিস শরীরে প্রবেশ করলেও আপনার শরীরে হেপাটাইটি এ সংক্রমণ হতে পারে। যেমন: এই ভাইরাসে সংক্রমিত শিশুর ডায়াপার বদলানোর পরে আপনি ভালো ভাবে ধৌত না করলে পরবর্তীতে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।
লক্ষণ
হেপাটাইটিস এ হলে জন্ডিস হয়। জন্ডিস হলে জ্বর, খিদে না পাওয়া, পেট ব্যথা, বমি, কোষ্ঠকাঠিন্য, ধূসর-রঙের মল, চুলকানি এ লক্ষণগুলো শরীরের দেখা দেয়।
করণীয়
১. জন্ডিস হলে আপনার শিশুকে পর্যাপ্ত বিশ্রামে রাখতে হবে। তাকে অল্প অল্প করে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।
২. জন্ডিসে আক্রান্ত শিশুর আচরণে কোনো ধরনের পরিবর্তন দেখা দিলে বা অচেতন হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।
৩. শিশুকে বিশুদ্ধ পানি পান করান। পাশাপাশি খাবার ভালো ভাবে রান্না করুন। ফলের জুস তৈরি করার আগে ফল ভালো ভাবে পানিতে ধুয়ে নিন।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/sorer-ar-konti-sobchaya-o/
৪. শিশুর ডায়াপার বদলানোর পরে এবং খাবার বানানোর ও খাওয়ার আগে নিজের হাত ভালো করে ধুয়ে নিন।
৫. আপনার বাড়ির ভিতর এবং তার চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন