পেরুর বিপক্ষে শেষ ম্যাচে দলে ছিলেন না মেসি। আগের ম্যাচে ২৪ মিনিটেই ডান পায়ের অ্যাডাক্টর পেশিতে পেয়েছিলেন চোট। এরপর সেই ম্যাচটা শেষ করলেও পেরুর বিপক্ষে ম্যাচে দেখা যায়নি তাকে। আবার একইদিনে ছিলেন না কোচ লিওনেল স্কালোনি। কানাডার বিপক্ষে ম্যাচে দেরি করে মাঠে প্রবেশ করার ১ ম্যাচের সাসপেনশনে ছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ।
কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে কোচ হিসেবে আবার ডাগআউটে ফিরছেন স্কালোনি। তারচেয়ে বড় স্বস্তির খবর, চোট কাটিয়ে লিওনেল মেসিও ফিরে আসছেন শুরুর একাদশে। সবশেষ ট্রেনিং সেশনে ছিলেন দলের সঙ্গে। পুরোপুরি হাস্যজ্জ্বল মুখেই দেখা গিয়েছিল আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে। ধারণা করা হচ্ছে ইকুয়েডর ম্যাচে শুরু থেকেই থাকবেন তিনি।
আর্জেন্টিনার ফুটবলের বিশ্বস্ত সূত্র টিওয়াইসি স্পোর্টস নিজেদের সবশেষ প্রতিবেদনে মেসির খেলার সম্ভাবনাই জোর দিয়ে প্রকাশ করেছে। যদিও কোচ লিওনেল স্কালোনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে মেসির সঙ্গে আলাপ করে নেয়ার পক্ষে।
সংবাদ সম্মেলনে স্কালোনি জানালেন, ‘আমি তার সঙ্গে আলাপ করিনি। কারণ আমার মনে হয়েছে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করাটাই যৌক্তিক। নিশ্চিতভাবেই আজ আমি কথা বলব, কারণ ম্যাচের বাকি থাকবে একদিন আর আমার কাছে এটাই কাছে মনে হয় সে (মেসি) সময় নিবে বা যতটা সম্ভব অনুশীলন করবে।’
‘ট্রেনিং এর আগে আমি তার সঙ্গে কথা বলব, আর তারপরেই সিদ্ধান্ত নেবো। আগামীকাল কী করব সেটা নিয়ে এখন পর্যন্ত তার সঙ্গে কোনো কথা আমার হয়নি।’ – যোগ করেন স্কালোনি।
দুই নাম্বার নাইন হুলিয়ান আলভারেজ এবং লাউতারো মার্টিনেজকে একসঙ্গে খেলানো হবে কিনা এমন প্রশ্নও শুনতে হয়েছে কোচ স্কালোনিকে। এমন সম্ভাবনাও ফিরিয়ে দেননি তিনি, ‘অবশ্যই এটা হতে পারে। এই প্রতিপক্ষের (ইকুয়েডর) বিরুদ্ধে তারা এর আগেই দুজনে মিলে খেলেছে। আজকের ট্রেনিং সেশন শেষে আমরা এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। এই সম্ভাবনা আমরা ফেলে দিচ্ছি না কারণ তারা একসঙ্গে দারুণ কাজ করেছে আর এটাও আমাদের হাতে থাকা একটি বিকল্প।’
তবে এদের মাঝেও কোচ আলাদা করে বললেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা লাউতারো মার্টিনেজকে নিয়ে, ‘লাউতারো কেবল ভালোই করেনি, সে তার সুযোগের জন্য অপেক্ষা করেছে। আর এটাই আমাকে সবচেয়ে বেশি খুশি করেছে। দুজনেই গোল করেছে, আশা করছি এই ধারা আগামীকালও বজায় থাকবে।’