ঘৃণা ছড়ানো মন্তব্য, হয়রানি এবং শ্লীলতাহানির মতো বিষয়বস্তুর বিরুদ্ধে ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে আইসিসি। নারী টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা চালু করেছে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) টুল।
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিন বৃহস্পতিবার সকালে আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনাটি দল এবং খেলোয়াড়দের জন্য আরো ইতিবাচক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অনলাইন অভিজ্ঞতা প্রচার করবে। এরই মধ্যে ৬০ জনেরও বেশি খেলোয়াড় টুলটি বেছে নিয়েছেন।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবে আইসিসির সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং একইসঙ্গে খেলোয়াড়দের মন্তব্যগুলো নিরীক্ষণ এবং পরিমিত, এআই এবং মানব সম্পদের সংমিশ্রণ প্রদানের জন্য গোবাবল নামের যুক্তরাজ্যের একটি সফ্টওয়্যার সংস্থাকে নিযুক্ত করেছে আইসিসি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিটি ঘৃণা ছড়ানো মন্তব্য, হয়রানি, এবং শ্লীলতাহানির মতো বিষাক্ত বিষয়বস্তুকে জনসাধারণের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে শনাক্ত করতে এবং লুকানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি সমর্থকদের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য একটি নিরাপদ এবং আরো বেশি স্বাগত জানানোর জায়গা তৈরিতে সহায়তা করবে।
আইসিসির পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক ব্যাটার সিনালো জাফতা বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে খেলোয়াড়দের এ ধরনের সুরক্ষা পাওয়া খুব বড় ব্যাপার। আমার জন্য এই সুরক্ষাটি খুব তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ খেলোয়াড়রা বিচার বা সমালোচনার ভয় ছাড়াই তাদের জীবন বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারে। আমি পরিবর্তনগুলো দেখার জন্য অপেক্ষা করছি।