কিশমিশ বেশ জনপ্রিয় খাবার। ছোটবেলায় বাড়িতে এনে রাখা কিশমিশ মুখে তুলে নেননি, এমন মানুষের সংখ্যা অনেক কম। এটি মূলত শুকনো আঙ্গুর, ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে অন্যতম কিশমিশ। প্রাকৃতিকভাবে পুষ্টিসমৃদ্ধ কিশমিশ এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজে পরিপূর্ণ। তবে কীভাবে খাবেন কিশমিশ?
অনেকেই হয়তো জানেন না, কিশমিশ শুকনো খাওয়ার চেয়ে পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেলে উপকার আসে অনেক বেশি। এমনই কিছু উপকারিতার কথা জানাবো আজ। চলুন জেনে নেওয়া যাক ভেজানো কিশমিশের উপকারিতাগুলো।
১. এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
প্রাকৃতিকভাবে কিশমিশে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে অনেক বেশি। পানিতে ভিজিয়ে রাখলে তা বেড়ে যায় বহুগুন। এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি র্যাডিকেলগুলোকে নিরপেক্ষ রাখতে সাহায্য করে, যার ফলে শরীর বেশ ভালো থাকে। কারণ এগুলো শরীরের স্বাভাবিক কোষ-বিভাজন প্রক্রিয়া ব্যাহত করে। আর অস্বাভাবিক বিভাজনের ফলে শরীরে নানারকম জটিলতা দেখা দেয় ও রোগের সৃষ্টি হয়।
২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, যা স্বাভাবিকভাবেই মানব দেহে লবণের পরিমাণ ভারসাম্য রাখতে পারে। পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে ভূমিকা রাখে কিশমিশ। তাছাড়া কিশমিশে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট, ডায়েটারি ফাইবার উপাদান রক্তনালীর শক্তি কমিয়ে দেয়। যা শরীরের রক্তচাপের মাত্রা কমাতে পারে।
৩. হজমশক্তির উন্নতি
পানিতে ভেজানো কিশমিশ প্রাকৃতিক খাদ্যতালিকাগত ফাইবারের একটি বড় উৎস, যা একটি প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে। এর ফলে, মলত্যাগের সময় খুব বেশি শক্তি প্রয়োগ করতে হয় না। নিয়মিত পানিতে ভেজানো কিশমিশ খেলে হজমশক্তি উন্নত হয়। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমিয়ে হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয়।
৪. রক্তশূন্যতা কমায়
কিশমিশ প্রাকৃতিকভাবে আয়রন সমৃদ্ধ। ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ আয়রন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির শোষণকে উন্নত করতে পারে। ভেজানো কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন বি থাকায় তা রক্তশূন্যতা অর্থাৎ শরীরে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।