গরমে সারা শরীরেই প্রচণ্ড ঘাম হয়। স্বাভাবিকভাবে মাথার তালুও ঘেমে যেতে পারে। অনেকেরই গরমে মাথার তালু ঘামে। কারও কারও এই ঘাম অতিরিক্ত পরিমাণে হয়।
মাথার ত্বকে ঘামের এই সমস্যার মোকাবিলা করা মুশকিল। ঘাম থেকে চুলের কী কী ক্ষতি হয় জানেন? ক্ষতি কমাতে চুলের যত্ন নেওয়ার উপায় কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
মাথার তালু কমবেশি সবারই ঘামে। এই ঘাম থেকে চুলের বিশেষ সমস্যা হয় না। তবে গরমে আবহাওয়ার পারদ উপরে ওঠায় ঘাম অনেক বেশি হয়।
এই ঘাম চুলের গোড়ায় থাকা হেয়ার ফলিকলে জমতে শুরু করে। এতে হেয়ার ফলিকলগুলো নিজেদের স্বাভাবিক কাজ করতে পারে না। চুলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
ঘাম চুলের গোড়ায় জমলে কী কী সমস্যা?
>> হেয়ার ফলিকলগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে এদের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়।
>> চুলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। যার ফলে চুল ঘন হয় না।
>> হেয়ার ফলিকল চুলে পুষ্টিগুণ জোগায়। এই ফলিকল ঠিকমতো কাজ না করলে চুলে সব পুষ্টি পৌঁছায় না।
>> ঘামের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে, যা চুলের কেরাটিনের ক্ষতি করে।
>> কেরাটিন নষ্ট হলে চুল দুর্বল হয়ে যায়। উঠে যায় দ্রুত। অর্থাৎ চুল পড়া বেড়ে যায় ।
>> চুলের গোড়াতে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। এর ফলে মাথার তালু অর্থাৎ স্ক্যাল্পে সংক্রমণ হতে পারে।
>> ঘামের মধ্যে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম থাকে। এগুলো জমতে থাকলে চুলের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
স্ক্যাল্পের ঘাম থেকে চুলকে কীভাবে রক্ষা করবেন?
গরমে স্ক্যাল্পে কিছুটা হলেও বেশি ঘাম হবে। এর থেকে চুলকে রক্ষা করতে হলে নিয়মিত চুলে শ্যাম্পু করতে হবে। এক্ষেত্রে সালফার ফ্রি অরগ্যানিক শ্যাম্পু করা ভালো।
মাথায় যাতে রোদ না লাগে তাই অনেকে আঁটসাঁট কাপড় বাঁধেন। কেউ আবার মোটা কাপড়ের টুপি পরেন। এতে ঘাম বাষ্পীভূত হতে পারে না। মাথায় জমতে থাকে। তাই হালকা কাপড় বেছে নিন। সবচেয়ে ভালো বিকল্প ছাতা। আর অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।