১৯৯৩ সালে সর্বশেষ কোপা আমেরিকার সেমিফাইনাল খেলেছিল ইকুয়েডর। দীর্ঘদিন সেরা চারের লড়াইয়ে উত্তীর্ণ হতে না পারার সেই আক্ষেপ আজ (শুক্রবার) প্রায় ঘুচিয়েই ফেলেছিল। কিন্তু স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে আর্জেন্টিনার কাছে টাইব্রেকারে হেরে। এমন হারের পর চাকরি ছাড়তে হয়েছে ইকুয়েডর কোচ ফেলিক্স সানচেজকে। দেশটির ফুটবল ফেডারেশন (এফইএফ) ও কোচ ফেলিক্স সম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তৃতীয়বারের মতো এবারের কোপায় কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠেছিল ইকুয়েডর। যদিও গ্রুপপর্বে তাদের অভিযান খুব একটা সফল ছিল না। তিন ম্যাচের মধ্যে তারা এক জয়ের সঙ্গে একটি ড্র ও হার দেখেছিল। ফলে অন্যতম ফেবারিট আর্জেন্টিনার বিপক্ষে যে কঠিন লড়াইয়ে পড়তে হবে, সেটি জানা-ই ছিল। তবে নাটকীয়ভাবে তারা নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র করে খেলা টাইব্রেকারে নিয়ে যায়।
এরপর পেনাল্টি শ্যুট আউটে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের বীরত্বে ৪-২ ব্যবধানে জিতেছে আর্জেন্টিনা। এমন হার ইকুয়েডর কোচের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিলো। এর আগে ২০১৯ সালে ফেলিক্সের অধীনেই প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের শিরোপা জিতেছিল কাতার। পরবর্তীতে গত বছরের মার্চে তিনি চার বছরের চুক্তিতে দায়িত্ব নেন ইকুয়েডরের। কিন্তু এক বছর পেরোতেই ফেলিক্সের ‘লা ত্রি’ অধ্যায়ের ইতি ঘটল।
ফেলিক্স ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইকুয়েডরকে নিয়ে ভালোই করছিলেন। ৬ ম্যাচে ৩ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান (পঞ্চম) ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে ও চিলির ওপরে। ইকুয়েডরের কোচ হিসেবে ১৯ ম্যাচের ১০টিতে জিতেছেন ফেলিক্স। কিন্তু কোপায় আরও বড় কিছুই আশা করছিল দলটি।
কোপা থেকে দল ছিটকে গেলেও, শিষ্যদের প্রশংসা করেছেন দায়িত্ব ছাড়া ৪৮ বছর বয়সী এই ইকুয়েডর কোচ। তিনি বলেন, ‘আমরা গ্রুপপর্ব থেকে নকআউট পর্বে এসেছিলাম। এরপর আমরা আর উন্নতি করতে না পারলেও, আমি খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানাতে চাই। আমার মতে তারা এর কৃতিত্ব পাওয়ার দাবিদার। একইসঙ্গে আমি মনে করি টুর্নামেন্টের এই পর্যায়ে অন্যদের তুলনায় আমরা কম অভিজ্ঞ। তবে ফলাফল আমাদের পক্ষে না এলেও, এই তরুণ খেলোয়াড়দের ওপর বিশ্বাস রাখা যায়।’