ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরপরই কোচিং প্যানেলে বড় পরিবর্তন এনেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পরিবর্তনের অংশ হিসেবে দলের ডিরেক্টরের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ হাফিজ। একই সঙ্গে প্রধান কোচের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। তবে খুব বেশি দিন স্থায়ী হলো না হাফিজ অধ্যায়। তিন মাস না পার হতেই হাফিজকে সরিয়ে দিয়েছে পিসিবি।
এদিকে চলতি মাসের শুরুর দিকে পিসিবির ৩৭তম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন পাঞ্জাব রাজ্যের অন্তর্বর্তীকালীন মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন রাজা নাকভি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিন বছরের জন্য এই পদে নির্বাচিত হন তিনি।
মহসিন দায়িত্ব নেওয়ার পরই চাকরি হারানোর শঙ্কায় পড়েন টিম ডিরেক্টর ও প্রধান কোচ মোহাম্মদ হাফিজ। পরে এক সপ্তাহ না যেতেই হাফিজকে সরিয়ে দিলেন নাকভি। এর মধ্য দিয়ে মাত্র ২ মাসেই চাকরি হারালেন হাফিজ।
চাকরি হারানোর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তা দিয়েছেন হাফিজ। সেখানে তার মন্তব্য, দায়িত্বে থাকাকালে দলের পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ার কারণ শিগগিরই প্রকাশ করবেন তিনি। হাফিজের দাবি, লম্বা সময়ের জন্যই তার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল।
এক্সে হাফিজের ভাষ্য, আমি সব সময় পাকিস্তানকে সম্মান ও গর্বের সঙ্গে প্রতিনিধিত্ব করেছি। ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্ব আমি অনেক আগ্রহের সঙ্গে নিয়েছিলাম। আমাকে পিসিবি থেকে ৪ বছরের জন্য দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, নতুন নেতৃত্ব আসায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটাকে ২ মাসে নিয়ে আসা হয়। পাকিস্তান ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা।
গত নভেম্বরে দায়িত্ব নিয়ে প্রধান কোচ হিসেবে ডিসেম্বর–জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরে কাজ করেছেন হাফিজ। দুটি সিরিজেই বড় ব্যবধানে হেরেছে দ্য গ্রিন ম্যানরা। অস্ট্রেলিয়ায় টেস্টে ৩–০ ব্যবধানে এবং নিউজিল্যান্ডে টি-টোয়েন্টিতে ৪-১ ব্যবধানে হারে পাকিস্তান।