Close Menu
  • Technology
  • Entertainment
  • Lifestyle
  • Travel
  • Sports
  • Exclusive
  • Funny
  • Recipe
Facebook X (Twitter) Instagram
Believe No Border Bangla
  • Technology
  • Entertainment
  • Lifestyle
  • Travel
  • Sports
  • Exclusive
  • Funny
  • Recipe
Believe No Border Bangla
Home » চায়ের রাজ্যে চা জাদুঘর শ্রীমঙ্গল মুগ্ধ করবে আপনাকে
Travel

চায়ের রাজ্যে চা জাদুঘর শ্রীমঙ্গল মুগ্ধ করবে আপনাকে

May 4, 20245 Mins Read

চা বাগানের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে টি বোর্ডের উদ্যোগে ২০০৯ সালে চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা রিসোর্ট ও জাদুঘর (Sreemongol Tea Resort And Museum) প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশের চা শিল্পের প্রায় দেড়শ বছরের প্রাচীন ইতিহাস এবং চা চাষ সম্পর্কিত সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চা গবেষণা কেন্দ্রের কাছে চারটি কক্ষে ৪৪ টির অধিক সংগ্রহ ও স্মারকের মাধ্যমে সাজানো হয়েছে এই চা জাদুঘরকে। চা জাদুঘরের পাশে মনোমুগ্ধকর টি রিসোর্টের অবস্থান। মূলত পুরানো একটি বৃটিশ বাংলোকে আধুনিক রিসোর্টের রূপ দেয়া হয়েছে।

শ্রীমঙ্গল

চোখ জুড়ানো সবুজ চা বাগানে ঘেরা এই জাদুঘরে ব্রিটিশ শাসনামলে চা বাগানে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, ব্রিটিশ বাংলোয় ব্যবহৃত শতাধিক আসবাপত্র, চা প্রসেসিং যন্ত্রপাতি, চা বাগানের ম্যানেজার ও চা শ্রমিকদের ব্যবহৃত জিনিস, প্রাচীন রৌপ্য ও তাম্য মুদ্রাসহ বিভিন্ন প্রাচীন নিদর্শন স্থান পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের স্মৃতি বিজড়িত একটি কক্ষ এই চা জাদুঘরের বিশেষ আকর্ষণ।

১৯৫৭-৫৮ সালে বঙ্গবন্ধু পাকিস্থান চা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে শ্রীমঙ্গলের নন্দবাড়ি চা বাগান পরিদর্শনে আসেন। তাঁর ব্যবহৃত চেয়ার ও টেবিল এই জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। এছাড়া রয়েছে সাদা পাঞ্জাবি পাজামা পরিহিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের একটি বিশেষ প্রতিকৃতি, যা দেখে মুগ্ধতা ছুঁয়ে যায়।

প্রথমটিতেই রয়েছে চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যবহার করা সেই চেয়ার-টেবিল শূন্য চেয়ার-টেবিলের পেছনে টাঙানো সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা পরা জাতির পিতার আপাদমস্তক প্রতিকৃতি। কক্ষটিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর চা পান করার ছবিসহ আরও বেশকিছু স্থিরচিত্র।

বলে রাখা ভালো, ১৯৫৭ সালের ৪ জুন প্রথম বাঙালি হিসাবে দেশের চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। বোর্ড চেয়ারম্যান থাকাকালীন চায়ের রাজধানীখ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল নন্দরানী চা-বাগান পরিদর্শনে আসেন বঙ্গবন্ধু। মিটিং করেন বাগান কর্মকর্তাদের সঙ্গে। সেই মিটিংয়ে বঙ্গবন্ধু যে চেয়ারে বসেছিলেন, যে টেবিলটি তার সামনে রাখা ছিল, সেগুলো এখন দেশীয় চা শিল্পের ইতিহাসের অংশ হয়ে স্থান নিয়েছে শ্রীমঙ্গলের ‘টি রিসোর্ট অ্যান্ড মিউজিয়ামে’।

পাশের কক্ষেই দেখতে পেলাম চা গাছ ব্যবহার করে তৈরি করা আসবাবপত্রের। চা জাদুঘরের এ কক্ষটিতে আরও দেখতে পেলাম লালচান্দ চা-বাগান থেকে সংগৃহীত পুরোনো আমলের চা শুকানো যন্ত্রের অংশবিশেষ। কোদালা, বারোমাসিয়া ও কর্ণফুলী চা-বাগান থেকে সংগৃহীত চা-বাগানের আগাছা পরিষ্কার করার কাঁটা কোদাল, রিং কোদাল এ কক্ষেই সংরক্ষিত।

ব্রিটিশ আমলে চায়ের চারা রোপণের গর্ত ও চা গাছ উপড়ানোর জন্য ব্যবহৃ ত প্লান্টিং হো, কোদালা চা-বাগানের শ্রমিক সুদর্শনের সংগৃহীত চা গাছ ছাঁটাইয়ের কাজে ব্যবহৃ ত কমল দা, ব্রিটিশ আমলে চা গাছ ছাঁটাইয়ের কাজে ব্যবহৃ ত পরুনিং দা, মাটি কোপানো ও চা গাছের শিকড় কাটার জন্য ব্যবহৃ ত রিং কোদাল।

১৯৬০ সালে শ্রমিকদের নাম-পদবি ও মজুরি হারসহ বিভিন্ন তথ্যসমৃদ্ধ শাহবাজপুর চা-বাগানের ব্যবহৃ ত সার্ভিস বুক এ কক্ষটিতে সংগ্রহে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে লোহার পাপস, চা-শ্রমিকদের জন্য ব্যবহৃ ত বিশেষ রূপা ও তামার মুদ্রা। ব্রিটিশদের গুনতির কাজে ব্যবহৃত হাড়ের ছড়ি, লাঠি, শ্রমিকদের পূজা-অর্চনায় ব্যবহৃ ত কষ্টিপাথরের প্লেট, ব্যবস্থাপক বাংলোয় ব্যবহৃ ত প্রাচীন বেতারযন্ত্র, কলের গান রেকর্ডসহ চা পাতা সংগ্রহে চয়ন যন্ত্র ও বাগানের নারী শ্রমিকদের ব্যবহৃ ত রুপার গহনা সংগৃহীত হয়েছে কক্ষটিতে।

তৃতীয় কক্ষে রয়েছে চা শিল্পে ব্যবহৃ ত ব্রিটিশ আমলের টারবাইন পাম্প, লিফট পাম্প, হস্তচালিত নলক‚প, বাগানের সীমানা ও জমি পরিমাপের জরিপ শিকল, সিরামিকের পানির ফিল্টার, সিরামিক জার, উনিশ শতকের প্রাচীন বৈদ্যুতিক পাখা, পুরোনো রেডিও টেলিফোন সেট, পরুনিং দা, টাইপ রাইটার, প্রাচীন পিএইচ মিটার ও চা প্রক্রিয়াকরণ সামগ্রী।

আছে তীর-ধনুক, দেওয়ালঘড়িসহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লাউয়াছড়া বনে বিধ্বস্ত হওয়া একটি যুদ্ধবিমানের অংশবিশেষও। দীর্ঘদিন মাটির নিচে থেকে কাঠ-পাথরে রূপান্তরিত চার খণ্ড জীবাশ্ম ঠাঁই করে নিয়েছে কাচের ফ্রেমে। রয়েছে নেপচুন চা-বাগান থেকে সংগৃহীত কেরোসিনের কুপি দিয়ে চালিত মাঝারি ফ্রিজ, মাথিউড়া চা-বাগান থেকে পাওয়া হাতে ঘোরানো টেলিফোন সেট এবং বাগানের হিসাবরক্ষকদের ব্যবহৃ ত ক্যাশ বাক্স।

অবিভক্ত ভারতের এ অঞ্চলে চা-শিল্পের যাত্রা শুরু উনিশ শতকের গোড়ার দিকে। ১৮২৮ সালে চট্টগ্রামের কোদালায় চা-বাগান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বর্তমানে যে স্থানটিতে চট্টগ্রাম ক্লাব, ঠিক সেখানেই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে চা গাছের চারা রোপণ করা হয় ১৮৪০ সালে। তবে বাণিজ্যিকভাবে প্রথম চা-শিল্পের যাত্রা শুরু সিলেটে।

১৮৫৪ সালে সিলেট শহরের উপকণ্ঠে প্রতিষ্ঠিত হয় মালনিছড়া চা-বাগান। সেখান থেকে দেশীয় চা শিল্পের গোড়াপত্তন। এর ১৭০ বছর পরের ইতিহাস একেবারেই ভিন্ন। বর্তমানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি আয়, গ্রামীণ দারিদ্র্যদূরীকরণসহ জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চা-শিল্প। এ শিল্পের বহুমুখী বিকাশও ঘটছে উত্তরোত্তর।

ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে চলছে তার গতিতে, এবার আমাদের বিদায় নেওয়ার পালা। কীভাবে একটি ঘণ্টা কাটিয়ে দিলাম টের পেলাম না। আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য অক্ষিপটে ভেসে উঠেছিল।

প্রবেশ মূল্য ও সময়সূচী: চা জাদুঘর প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এখানে প্রবেশ টিকেটের মূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা।

ঢাকা থেকে ট্রেন এবং বাসে চড়ে সিলেটের শ্রীমঙ্গল যেতে পারবেন। কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে উপবন, জয়ন্তিকা, পারাবত বা কালনি এক্সপ্রেসে শ্রীমঙ্গল যাওয়া যায়। শ্রেণিভেদে ভাড়া পড়বে ২২০ থেকে ১০০০ টাকা। চাইলে হানিফ, এনা, শ্যামলী এবং সিলেট এক্সপ্রেসের মতো বাসেও শ্রীমঙ্গল যেতে পারবেন। শ্রীমঙ্গল হতে ইজিবাইক বা অটো রিকশা নিয়ে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চা জাদুঘর ঘুরে আসতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন

চা জাদুঘরের পাশেই রয়েছে চা বাগান ঘেঁষা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন টি রিসোর্ট। অগ্রিম বুকিং দিয়ে এখানে থাকা যায়। এছাড়া কম খরচে রাত্রি যাপনের জন্য শ্রীমঙ্গলে হোটেল মেরিনা, টি হাউজ রেস্ট হাউজ, প্যারাডাইস লজ, হোটেল মহসিন প্লাজা, হোটেল আল রহমানের মতো বেশকিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে।

কোথায় খাবেন

শ্রীমঙ্গল শহরের গ্র্যান্ড তাজ, হাবিব হোটেল, কুটুম বাড়ী ও শ্রীমঙ্গল ইনের খাবার বেশ জনপ্রিয়। তবে রিসোর্টে থাকলে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খাওয়ার ব্যবস্থা করা যায়। আর শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে আসলে অবশ্যই সাত রঙের চায়ের স্বাদ নিতে ভুলবেন না।

শাহরুখ খানের পর দুবাইয়ের গোল্ডেন ভিসা পেলেন শাকিব খান

মৌলভীবাজারের অন্যান্য দর্শনীয় স্থান : মৌলভীবাজারের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে চা বাগান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, বাইক্কা বিল, মাধবকুন্ড ও হামহাম জলপ্রপাত উল্লেখযোগ্য।

travel আপনাকে করবে চা চায়ের জাদুঘর মুগ্ধ রাজ্যে শ্রীমঙ্গল

Related Posts

উর্দু লাহোর কালান্দার্সকে - সাকিব

অনর্গল উর্দু বলে লাহোর কালান্দার্সকে মুগ্ধ করলেন সাকিব

May 24, 2025
আইপিএল

নিষিদ্ধ নিয়ম চালু করবে আইপিএল!

March 20, 2025
দুধ চা

দুধ চা স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী?

February 19, 2025
Latest post
স্ট্রোক জীবনযাপন পরিবর্তন

স্ট্রোক এড়াতে জীবনযাপনে যেসব পরিবর্তন আনবেন

June 13, 2025
অধিনায়কত্ব-মিরাজ

লম্বা সময়ের জন্য অধিনায়কত্ব পেলে ভালো হয় : মিরাজ

June 13, 2025
বয়স - রুনা খান

নিজের বয়স নিয়ে কী বললেন রুনা খান

June 13, 2025
সবজি ডাল

ঘরে বসেই তৈরি করে ফেলুন সবজি ডাল

June 12, 2025
কালো জাদু -মিষ্টি জান্নাত

আমাকে কালো জাদু করা হয়েছিল : মিষ্টি জান্নাত

June 12, 2025
About us | DMCA | Privacy Policy | Contact

© 2025 BelieveNoBorder. All Rights Reserved

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.