রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জিতানোর অন্যতম নায়ক ছিলেন পল পগবা। তবে ইনজুরির কারণে কাতার বিশ্বকাপে মাঠে নামা হয়নি এই তারকা ফুটবলারের। এবার ডোপকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে পগবাকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ইতালির জাতীয় অ্যান্টি-ডোপিং ট্রাইব্যুনাল।
বিশ্ব অ্যান্টি-ডোপিং আইন অনুসারে, কেউ যদি এই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে তাহলে তার চার বছরের শাস্তি হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তবে এই শাস্তি কমানোর সুযোগও রয়েছে। এক্ষেত্রে খেলোয়াড়কে প্রমাণ করতে হবে, তিনি ইচ্ছেকৃতভাবে ডোপিংয়ের সঙ্গে জড়িত হননি। অথবা অভিযুক্ত অ্যাথলেট যদি তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তথ্য দিয়ে যথাযথ সাহায্য করেন, তবেই শাস্তি কমানো যাবে।
২০২৩ সালের ২০ আগস্ট উদিনেসের বিপক্ষে জুভেস্টাসের ম্যাচের পর পগবার শরীরে টেস্টোস্টারেন টেস্ট করা হয়। পরে পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ হয়। তবে সেই ম্যাচে খেলেননি এই ফরাসী মিডফিল্ডার।
গত বছরের ডিসেম্বরে পগবাকে অন্তত চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার আবেদন জানান ইতালির প্রসিকিউটর। সেই আবেদনের সাপেক্ষে চূড়ান্ত রায়ে তাকে এই শাস্তি দিয়েছে ইতালির আদালত।
এ বিষয়ে পগবার প্রতিনিধির কাছে জানতে চাওয়া হয় ফুটবল বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন এর পক্ষ থেকে। প্রশ্নের সাপেক্ষে জানা গেছে, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন পগবা। খেলাধুলা বিষয়ক সালিশি আদালতে এই আপিল করবেন জুভেন্টাস তারকা।
টেস্টোস্টারেন হলো- পুরুষদের প্রধান স্টেরয়েড হরমোন, যা শুক্রাশয়ে উৎপন্ন হয়। এটি খেলার মাঠে খেলোয়াড়দের অতিরিক্ত শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে। আর খেলায় এই ধরনের কোনো কিছু গ্রহণ করা পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
২০২২ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে জুভেন্টাসে যোগ দিয়েছিলেন পগবা। ইতালির সিরিয়াতে ফেরার পরই ইনজুরি হানা দেয় ৩০ বছর বয়সী এই তারকাকে। এর আগে ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জুভেন্টাসের হয়ে ১৭৮টি ম্যাচ খেলেছেন পগবা।