জাতীয় চিড়িয়াখানায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে গাধার সংখ্যা বেড়ে গেছে। রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় গাধা আছে ১৩টি। তবে সেখানে জায়গা আছে ছয়টি গাধার। ধারণক্ষমতার চেয়ে গাধার সংখ্যা বেশি হওয়ায় ভারসাম্য আনতে অতিরিক্ত গাধাগুলো বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় চিড়িয়াখানার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে চিড়িয়াখানায় ১৩৭টি খাঁচায় ২৩৭ প্রকোষ্ঠের মধ্যে ১৩৫ প্রজাতির ৩ হাজার ৩৪২টি প্রাণী এবং অ্যাকুয়ারিয়ামে মাছ প্রদর্শন করা হচ্ছে।
জানা যায়, গাধার মতো চিড়িয়াখানায় জায়গার তুলনায় ঘোড়া, সাপ, জলহস্তী, পাখিসহ বিভিন্ন প্রাণীর সংখ্যা বেশি। তাই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বাড়তি প্রাণীগুলোকে বিক্রি অথবা অবমুক্ত করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চেয়ে চিঠি দিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ জানায়, চিড়িয়াখানার মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি আমরা। চিড়িয়াখানার সংস্কার, প্রাণী ধারণক্ষমতার মধ্যে রাখাসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মান সন্তোষজনক পর্যায়ে গেলে ডব্লিউএজেডএর সদস্যপদের জন্য আবেদন করা হবে।
ধারণক্ষমতার বেশি থাকা ১০ প্রজাতির মধ্যে ৬ প্রজাতির প্রাণী বিক্রির জন্য অনুমোদন চেয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেগুলো হলো গাধা, আরবিয় ঘোড়া, দেশি ঘোড়া, ইমু পাখি, দেশি কবুতর ও জালালী কবুতর। তবে এখনো এর অনুমোদন মেলেনি।
বিক্রি করতে হলে মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, মূল্য নির্ধারণ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে সেই দামে বিক্রি করা যাবে।