ভুল খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার যুগলবন্দিতে জয়েন্টের ব্যথায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত, বয়স্কদের মধ্যেই এই সমস্যার প্রকোপ বেশি। তবে চিন্তার বিষয় হলো, আজকাল কম বয়সিরাও এই অসুখের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ছেন। তাই জয়েন্টের ব্যথা নিয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জয়েন্টের মধ্যে অবস্থিত কুশনের ক্ষয়জনিত কারণেই ব্যথা বাড়ছে। আসলে জয়েন্টে অবস্থিত এই কুশনটি দুটি হাড়ের মধ্যে ঘর্ষণ হতে দেয় না। তবে কোনও কারণে কুশনটি ক্ষয়ে গেলে হাড়ে হাড়ে ঘষা লেগে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়াও হাড়ের ক্ষয়জনিত কারণে জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে।
সমস্যা হলো, অনেকেই জয়েন্টে ব্যথা হলো কি না পেইনকিলার খাওয়া শুরু করে দেন। তবে এই অভ্যাস আদতে শরীরের ক্ষতি করে। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে এই ধরনের ব্যথার ওষুধ নিয়মিত খেলে শরীরের ক্ষতি হয়। বিশেষত, কিডনি ও লিভার ড্যামেজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ বিষয়ে সকলকেই সচেতন থাকতে হবে।
এদিকে জয়েন্টে ব্যথা, ঠিকমতো অঙ্গ সঞ্চালন করতে না পারা অস্টিয়োআর্থ্রাইটিসের লক্ষণ বলেও জানান চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী অস্টিয়োআর্থ্রাইটিস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। তাই সামান্য লক্ষণ দেখা দিলেও তা এড়ানো ঠিক নয়। এতে রোগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
চিকিৎসকদের কথায়, বর্তমান সময়ে অস্টিয়োআর্থ্রাইটিসে অনেকেই ভুগছেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সমস্যা সঠিক সময়ে ধরা পড়ে না। সঠিক সময়ে রোগটি ধরা গেলে হাঁটাচলার সমস্যা হয় না। ওষুধ ও সঠিক চিকিৎসার সাহায্যে রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে অধিকাংশ রোগী জয়েন্ট ক্ষতি অনেকটা হয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকের কাছে আসেন। সেই সময় হাঁটু আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা একেবারেই সম্ভব হয় না। তখন জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকে না। অন্যদিকে অনেক রোগী ব্যথার ওষুধ খেয়েই ব্যথা কমান। এই প্রবণতাও মারাত্মক।
ঘন ঘন হাঁটু বা জয়েন্টে ব্যথা হলে হাঁটতে অসুবিধা হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই শ্রেয়। এ ছাড়াও এরকম সমস্যায় পেইনকিলারের বদলে কয়েকটি পরিচিত খাবারকে খাদ্য তালিকায় যুক্ত করে দিলেই জয়েন্টের ব্যথার প্রকোপ কমবে অনেকটাই।
এই ৫ খাবার খেলেই দ্রুত কমবে হাঁটু ব্যথার যন্ত্রণা-
১. সামুদ্রিক মাছ
২. সবুজ শাক, সবজি
৩. বাদাম
৪. বেরি জাতীয় ফল
৫. আদা ও রসুন