অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, বর্তমানে সবচেয়ে দামি বিলাসবহুল গাড়ি কোনটি। টয়োটা, বুগাতি, মার্সিডিজ, টেসলা, বিএমডব্লিউ, পাগানি, রোল্স রয়েস এত এত নামের ভিড়ে কোন কোম্পানিটি ওই দামি গাড়ির মালিক। সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে দামি বিলাসবহুল ১০টি গাড়ির তালিকা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইট মোটরওয়ানডটকম। ওই তালিকা দেখলেই বোঝা যায়, বর্তমানে বিলাসবহুল গাড়ির বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে কারা। চলুন দেখে নেওয়া যাক, সেরা ১০ দামি গাড়ি।
পাগানি হুয়ায়রা ইমোলা
তালিকার ১০ নম্বরে রয়েছে পাগানি হুয়ায়রা ইমোলা। ৫.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৫৮ কোটি টাকা)। ইটালিয়ান স্পোর্টস কার কোম্পানির এ গাড়িতে রয়েছে টুইন টার্বোচার্জড ৬.০ লিটার একটি টুইন-টার্বোচার্জড ৬.০-লিটার ভি১২ ইঞ্জিন, ৮২৭ হর্সপাওয়ার এবং ৮১১ পাউন্ড-ফুট টর্ক উৎপাদনের ক্ষমতা। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ৩৮৩ কিলোমিটার।
বুগাটির ডিভো
ফরাসি গাড়ি কোম্পানি বুগাটির ডিভো মডেলটির মূল্য ৫.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (সাড়ে ৬২ কোটি টাকা)। হালকা চাকায় কার্বন ফাইবার ইন্টারকুলার যুক্ত হওয়ায় নিঃশব্দে যেন গাড়িটি বাতাসে ভাসে। ঘণ্টায় স্পোর্টস কারটির গতিবেগ সর্বোচ্চ ৩৮০ কিলোমিটার।
এসপি অটোসোটিভ চাওস
এসপি অটোসোটিভ চাওস রয়েছে তালিকার আট নম্বরে। গ্রিসের স্পাইরাস অটোমোটিভ কোম্পানির এ আল্ট্রা কার ২০০০ হর্সপাওয়ারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ প্রায় ৫০০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। প্রথম ৭ সেকেন্ডে গাড়িটি অতিক্রম করে প্রায় আধা কিলোমিটার। এর মূল্য ৬.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৭০ কোটি টাকা)
০৭.পাগানি কোডালুঙ্গার দাম ৭.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৭৯ কোটি টাকা)। ইটালিয়ান কোম্পানি পাগানির এই মডেলের গাড়িটি ৮২৯ হর্সপাওয়ারের একটি অসাধারণ রেসিং কার। সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৩৮৩ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে গাড়িটি। বুগাতি চিরন, ল্যাম্বরগিনি, অ্যাভেন্টাডোর, কোনিংস্যাগ অ্যাগেরা এবং ফেরারি লাফেরারির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে পারে কোডালুঙ্গা।
মার্সিডিজ মেবাচ এক্সেলারো
তালিকার ছয় নম্বরে থাকা গাড়িটির নাম মার্সিডিজ মেবাচ এক্সেলারো। জার্মান কোম্পানি মার্সিডিজ গুডইয়ার টায়ার পরীক্ষার সময় এ গাড়িটি লঞ্চ করেছিল ২০০৪ সালে। টুইন-টার্বো ভি১২ ও ৬৯০ অশ্বশক্তি নিয়ে গাড়িটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার। এর বর্তমান মূল্য ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৮৬ কোটি টাকা)।
বুগাটি সেন্টোডিসি
বুগাটির আরেকটি সুপারক্লাস মডেল সেন্টোডিসি। দর্শনীয় ডিজাইনের এ গাড়ির বর্তমান মূল্য ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৯৭ কোটি টাকা)। বুগাতি কোম্পানির ১১০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে গাড়িটি লঞ্চ করা হয়েছিল। ঘণ্টায় এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ৩৮০ কিলোমিটার। ৩০০ কিলোমিটার গতিতে পৌঁছতে গাড়িটি সময় নেয় মাত্র ৬.১ সেকেন্ড। সর্বোচ্চ গতিতে পৌঁছতে সময় লাগে ১৩.১ সেকেন্ড।
বুগাটি চিরন
তালিকার চার নম্বর অবস্থানটিও ইটালিয়ান কোম্পানি বুগাটির। এর চিরন মডেলটি ১ হাজার ৪৭৬ অশ্বশক্তি নিয়ে কোয়াড টার্বোচার্জড ভি১৬ ইঞ্জিন নিয়ে কোম্পানির জন্য বিশেষ অহংকারের জায়গা তৈরি করেছে। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ৪৮৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। গাড়িটির বর্তমান মূল্য ১০.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১১৬ কোটি টাকা)।
রোলস-রয়েস সুইপটেইল
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রোলস-রয়েস সুইপটেইল। ব্রিটিশ গাড়ি কোম্পানি রোলস-রয়েস মোটর কারস-এর এ গাড়িটির গড়ন অনেকটা পুরোনো আভিজাত্যের প্রতীক। মাত্র ৪৫৩ অশ্বশক্তির এ গাড়ির ট্যাগমূল্য ১২.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১৩৮ কোটি টাকা)। ঘণ্টায় গাড়িটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ২৫০ কিলোমিটার।
বুগাটি লা ভয়েচার নয়ার
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থান দখল করে নিয়েছে বুগাটির আরেকটি মডেল লা ভয়েচার নয়ার। যার মূল্য ১৩.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১৪৪ কোটি টাকা)। ইটালির সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল গাড়ি। চিরনের মতো ইঞ্জিন হলেও এর অশ্বশক্তি কিছুটা বেশি। ঘণ্টায় এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ৪২০ কিলোমিটার। ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিতে পৌঁছতে গাড়িটি সময় নেয় মাত্র ২.৪ সেকেন্ড।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/%e0%a6%95%e0%a6%96%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%9d%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%a8%e0%a6%96%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%af%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8d/
রোলস-রয়েস-এর বোট টেইল
বিশ্বে সবচেয়ে দামি গাড়ির তকমা পেয়েছে ব্রিটিশ কোম্পানি রোলস-রয়েস-এর বোট টেইল। এর আনুমানিক মূল্য ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩০১ কোটি টাকা)। কাস্টম হাই-এন্ড ফিনিশিং এবং হোস্টিং স্যুটসহ শ্যাম্পেন ফ্রিজ রয়েছে গাড়িটিতে। ঘণ্টায় গাড়িটি সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে।