যদি জোর করে কেও আপনার সম্পত্তি দখল করে – যদি জোর করে কেও আপনার সম্পত্তি দখল করে, জানুন আপনার করনীয় কী – প্রতিনিয়ত জমি, বাড়ী, ফ্ল্যাট হতে কেউ না কেউ দখলচ্যূত হচ্ছেন। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রায়ই অন্য লোকজনের স্থাবর সম্পত্তি জোর পূর্বক বা চাতুরী পন্থায় দখল করে।
সম্পত্তি বেদখল বলতে বোঝায় প্রকৃত মালিককে তার মালিকানা থেকে জোর করে উচ্ছেদ করে অবৈধভাবে সেখানে তার স্বত্তা ও দখল প্রতিষ্ঠিত করা।
অনেকে দখলচ্যূত হলে থানায় মামলা করতে চাই। পুলিশ কে দিয়ে দখল পুনরুদ্বার করতে চায়। কিন্তু অনেকেই জানেন না বেদখল হলে তার করনীয় কি? ব্যক্তি কর্তৃক স্থাবর সম্পত্তি হতে বেদখল হলে দখল পুনরুদ্বারের জন্য যে সমস্ত প্রতিকার আছে তা নিম্নে তুলে ধরা হলো-
ফৌজদারী আদালতে মামলা:-
কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তি হতে বেদখল হওয়ার ২ মাসের মধ্যে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে বেদখল করার চেষ্টা হতে বিরত করার জন্য বা সম্পত্তিতে ঐ ব্যক্তির প্রবেশ রোধ করার আদেশ প্রদানের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৫ ধারার বিধান অনুসারে মামলা করতে পারবেন।
এ ধরণের মামলা অল্প সময়ের মধ্যেই নিস্পত্তি হয়ে থাকে। তবে মামলা করার পূর্বে থানায় ঘটনার বিষয়ে একটি জিডি করতে পারেন।
দেওয়ানী আদালতে মামলা:- যিনি স্থাবর সম্পত্তি হতে বেদখল হয়েছেন তাকে বেদখল হওয়ার তারিখ হতে ৬ মাসের মধ্যে দখল পুনরুদ্বারের দাবিতে ১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন এর ঌ ধারার বিধান মোতাবেক দেওয়ানী আদালতে মামলা করে দখল পুনরুদ্বার করা যায়।
বাদি যদি সম্পত্তিতে নিজের স্বত্ব (মালিকানা) প্রমাণে সমর্থ নাও হন কেবল বেদখল হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত দখলে ছিল প্রমাণ করতে পারেন তবেই তিনি তার পক্ষে ডিক্রী পেতে পারেন।
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারা মতে প্রদত্ত ডিক্রী বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বা রিভিউ করার কোন বিধান নেই। তবে মহামান্য হাইকোর্টে রিভিশন করা যাবে। কিন্ত সরকার কর্তৃক বেদখল হলে এ আইনে কোন প্রতিকার পাওয়া যাবে না।
আবার ৬ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলে মামলা তামাদি দোষে বারিত হবে। তবে তামাদি আইনে দখল চুত্যির ১২ বছরের মধ্যে মোকদ্দমা করা যায়।
সম্পত্তি বেদখল সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে আরও বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন নিচের আলোচনা থেকে ।
সম্পত্তি বেদখল কি:
সম্পত্তি বেদখল বলতে বোঝায় প্রকৃত মালিককে তার মালিকানা থেকে জোর করে উচ্ছেদ করে অবৈধভাবে সেখানে তার স্বত্তা প্রতিষ্ঠিত করা ৷
সম্পত্তি বেদখল কিভাবে হয়: জমি জমা ভোগ দখলে রাখার আশা মানুষের চিরকালের ৷ তাই জমির দখল নিয়ে সব সময়ই সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে ৷ অসাধু দাঙ্গাটে প্রকৃতির লোকেরা প্রায়ই লোকজনকে জোরপুর্বক বা চাতুরী পন্থায় ভুমি বেদখল করছে ৷
কোথায় যেতে হবে:
ভুমি হতে বেদখল হলে দখল পুনরুদ্বারের জন্য যে সমস্ত প্রতিকার আছে তা নিম্নে তুলে ধরা হলো:
১) সালিশের মাধ্যমে
২) আদালতে মামলা করার মাধ্যমে
সালিশের মাধ্যমে: কোন ব্যক্তির জমি বেদখল হলে তার গ্রামের স্থানীয় লোকদের নেতৃত্বে সালিশের মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তি তার জমি ফেরত পেতে পারেন ৷ সালিশে মীমাংসার মাধ্যমে উভয় পক্ষের মধ্যে সমাধান করা হয়ে থাকে ৷
ফৌজদারী আদালতে মামলা
কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তি হতে বেদখল হওয়ার ২ মাসের মধ্যে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে বেদখল করার চেষ্টা হতে বিরত করার জন্য বা সম্পত্তিতে ঐ ব্যক্তির প্রবেশ বারিত করে আদেশ প্রদানের জন্য ১ম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদালতে ফৌজদারী কায্যবিধির ১৪৪ অথবা ১৪৫ ধারার বিধান অনুসারে মামলা করতে পারবেন ৷ এ ধরনের মামলা অল্প সময়ের মধ্যেই নিস্পত্তি হয়ে থাকে ৷ফৌজদারী কায্যবিধির ১৪৪ এবং ১৪৫ ধারাসমূহ নীচে দেওয়া হলো:
ফৌজদারী কায্যবিধি ১৮৯৮: উত্পাত বা আশংকিত বিপদের জরুরী ক্ষেত্রে অস্থায়ী আদেশ
ধারা ১৪৪ । উত্পাত বা আশংকিত বিপদের ক্ষেত্রে তত্ক্ষণাত্ সম্পূর্ণ আদেশ জারীর ক্ষমতা (Power to issue order absolute at once in urgent cases of nuisance or apprehended dayer): (১) যে সকল ক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, মহকুমা ম্যাজিষ্ট্রেট, অথবা এই ধারার অধীন কাজ করিবার জন্য সরকার বা জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন ম্যাজিষ্ট্রেটের (তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজি্ষ্ট্রেট নহেন ) মতে, এই ধারার অধীন অগ্রসর হইবার মত যথেষ্ঠ কারণ রহিয়াছে এবং আশু নিবারন বা দ্রুত প্রতিকার বান্ছনীয়, সেই সকল ক্ষেত্রে এইরুপ ম্যাজিষ্ট্রেট লিখিত আদেশে ঘটনার মূল বিষয়বস্ত বর্ণনা করিয়া এবং ইহা ১৩৪ ধারায় বর্ণিত পদ্ধতিতে জারী করিয়া যে কোন ব্যক্তিকে কোন নির্দিষ্ট কাজ করা হইতে বিরত থাকিবার অথবা কোন নির্দিষ্ট সম্পত্তি তাহার দখলে কিংবা তাহার ব্যবস্থাধীনে লইবার নির্দেশ দিতে পারিবেন, যদি উক্ত ম্যাজিষ্ট্রেট বিবেচনা করেন যে, তাহার নির্দেশে আইনসংগতভাবে নিযুক্ত কোন ব্যক্তির প্রতি বাধা, বিরুক্তি বা ক্ষতি অথবা বাধা,বিরক্তি বা ক্ষতির ঝুঁকি, অথবা মানুষের জীবন, স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তার প্রতি বিপদ অথবা জনশান্তির বিরক্তি বা দাঙ্গা বা মারামারি নিরোধের সম্ভাবনা আছে কিংবা নিরোধে সহায়তা করিবে ।
(২) জরুরী পরিস্থিতিতে অথবা যাহার উপর আদেশ দেওয়া হইতেছে সময় মত তাহার নোটিশ জারী করিবার মত পরিস্থিতি নাই, সেই সকল ক্ষেত্রে এই ধারার আদেশ একতরফাভাবে প্রদান করা যাইবে ।
(৩) এই ধারার আদেশ কোন ব্যক্তি বিশেষের প্রতি অথবা কোন বিশেষ স্থানে ঘন ঘন গমনকারী বা সফরকারী জনসাধারণের প্রতি নির্দেশিত হইতে পারিবে ।
(৪) যে কোন ম্যাজিষ্ট্রেট স্বত:প্রবৃত্ত হইয়া বা কোন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির আবেদনক্রমে এই ধারানুসারে তাহার নিজের বা তাহার অধীনস্ত কোন ম্যাজিষ্ট্রেট বা তাহার পূববর্তী ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশ বাতিল বা পরিবর্তন করিতে পারিবেন ।
(৫)এইরুপ কোন আবেদনপত্র পাওয়া গেলে ম্যাজিষ্ট্রেট আবেদনকারীকে শীঘ্র ব্যক্তিগতভাবে বা কৌসুলীর মাধ্যমে তাহার নিকট হাজির হইবার এবং আদেশের বিরুদ্ধে কারণ দর্শাইবার সুযোগ দিবেন, এবং ম্যাজিষ্ট্রেট যদি আবেদন সম্পূর্ণরুপে বা আংশিক বাতিল করেন, তাহা হইলে তিনি লিখিতভাবে এইরুপ করিবার কারণ লিপিবদ্ধ করিবেন ।
(৬) মানুষের জীবন, স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তার প্রতি বিপদ, অথবা দাঙ্গা বা মারামারির আশংকার ক্ষেত্রে সরকার সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা অন্যরুপ নির্দেশ না দিলে এই ধারা অনুসারে প্রদত্ত কোন আদেশ দুইমাসের অধিককাল বলবত্ থাকিবেনা ।
(৭) এই ধারার বিধানসমূহ মহানগরী এলাকায় প্রযোজ্য হইবে না ।
আলোচনা ও প্রয়োগ: ১৪৪ ধারায় থানা নিবাহী কর্মকর্তা ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন । তবে তিনি কোন মামলার বিচার করতে পারবেন না ।
থানা ম্যাজিষ্ট্রেট একজন সাবর্ক্ষণিক ম্যাজিষ্ট্রেট হবেন এবং তিনি থানা নিবার্হী কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে প্রয়োজন হওয়া ছাড়া ১৪৪ ধারায় ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন না। ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকায় ১৪৪ ধারায় আদেশ দেয়ার কোন ক্ষমতা কোন ম্যাজিষ্ট্রেটের নেই। মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে ও ১৪৪ ধারায় একই ক্ষমতা দেয়া হয়েছে ।
কেবলমাত্র অতীব জরুরী অবস্থায় সাময়িক আদেশ দেওয়ায়ই এই ধারার লক্ষ্য । অন্যের বৈধ অধিকারে যারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে এই ধারা প্রয়োগ করা হয় ।অবস্থা মোকাবেলা করতে তার উপর ন্যস্ত অন্যান্য ক্ষমতা যখন পযার্প্ত নয় বলে ম্যাজিষ্ট্রেট সন্তুষ্ট হবেন কেবল তখনই তিনি এই ধারায় প্রদত্ত অসাধারণ ক্ষমতার আশ্রয় নেবেন । জরুরী অবস্থা হঠাত্ হতে হবে এবং পরিণতি/ফল পযার্প্তভাবে মারাত্নক হবে ।
তবে মনে রাখতে হবে যে, দেওয়ানী মামলাই উপযুক্ত হলে এই ধারায় আশ্রয় নেয়া যাবে না ।
ম্যাজিষ্ট্রেট এমন কোন আদেশ দিতে পারেন না যা মূলত দেওয়ানী আদালতের আদেশে হস্তক্ষেপ করে । ১৪৪ ধারায় নিম্নোক্ত অবস্থায় আদেশ দেয়া যেতে পারে: (ক) অতীব জরুরী অবস্থায়;(খ) তার উপর অর্পিত অন্যান্য ক্ষমতার ব্যবহার কাযর্কর হবে না মর্মে ম্যাজিষ্ট্রেট সন্তুষ্ট হলে। এমনকি জরুরী অবস্থার ক্ষেত্রেও যে ব্যক্তি বা বস্তুর বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে তাদের চেয়ে বরং অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে আদেশ দিতে হয় । এই ধারায় আদেশ থানা নিবার্হী কমর্কতার্র দ্বারা অথবা সরকার বা জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের দ্বারা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট দিতে পারবেন ।
টি.এন.ও এর অনুপস্থিতিতে কায করার প্রয়োজন হওয়া ছাড়া এভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত নয় এমন শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট এই ধারায় কোন আদেশ দিতে পারেন না । এই ধারা আনুযায়ী প্রদত্ত আদেশ বিচারিক,প্রশাসনিক নয় ।
আদেশের প্রকৃতি ও বিষয়বস্ত হচ্ছে -(১) এটা লিখিত হবে; (২) এটা চূড়ান্ত ও নির্দিষ্ট হবে; (৩)ম্যাজিষ্ট্রেট যে গুরত্বপূর্ণ ঘটনাকে বিষয়টির ঘটনাবলী মনে করেন এবং যে ঘটনার উপর ভিত্তি করে তিনি আদেশ দেন ঐ ঘটনার একটি বিবৃতি আদেশে থাকতে হবে; (৪) আদেশটি নির্দিষ্ট হতে হবে; (৫) যে বিশেষ কাযের জন্য বিপদের আশংকা করা হয় আদেশটি ঐ কাযের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে; (৬) আদেশটির মেয়াদকাল জরুরী অবস্থার মেয়াদকালের সমান হবে; (৭)উপধারা (১) অনুযায়ী আদেশটি সাধারনভাবে জনসাধারনের ক্ষেত্রে দেয়া না হলে যাদের বিরুদ্ধে আদেশটি দেয়া হয় তাদেরকে নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে; (৮) যে আদেশ অনুযায়ী নোটিশ দেয়া হয় ঐ আদেশের শতাবর্লী নোটিশের শতাবর্লী অনুসরণ করবে ।
যেক্ষেত্রে কোন পক্ষের দখল নেই, কোন বিরোধ নেই, কিন্তু যেক্ষেত্রে ভূমির দখল সম্পর্কে বিরোধ আছে এবং প্রকৃত দখলের বিষয়টি ১৪৫ ধারা অনুযায়ী কাযর্ধারার সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হতে হবে কেবলমাত্র সেক্ষেত্রে ১৪৪ ধারা প্রযোজ্য ।
স্থাবর সম্পত্তি বিষয়ক বিরোধ:
ধারা ১৪৫ ।জমি, ইত্যাদি সম্পর্কিত বিরোধের ফলে শান্তি ভঙ্গের আশংকা থাকিলে পদ্ধতি (Procedure where dispute concerning and,etc, is likely to cause breach of peace): (১) যখন কোন মেট্রৌপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট, বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ রিপোর্ট বা অন্য কোনভাবে সংবাদ পাইয়া এই মর্মে সন্তষ্ট হন যে, তাহার এখতিয়ারের স্স্থানীয় সীমার মধ্যে জমি বা পানি বা উহার সীমানা সম্পর্কে এমন একটি বিরোধ রহিয়াছে, যাহা শান্তিভঙ্গ ঘটাইতে পারে, তখন তিনি তাহার এইরুপ সন্তষ্ট হইবার কারণ উল্লেখ করিয়া তাহার দ্বারা নিধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে সশরীরে বা কৌসুলীর মাধ্যমে তাহার আদালতে হাজির হইবার এবং বিরোধের বিষয়বস্তুতে প্রকৃত দখল সম্পর্কে তাহাদের নিজ নিজ দাবী সম্পর্কে বিবৃতি পেশ করিবার নির্দেশ দিয়া একটি লিখিত আদেশ দিবেন ।
(২) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ”জমি বা পানি” বলিতে দালান, বাজার, মত্স্য খামার, ফসল ভূমির আন্যান্য উত্পাদিত দ্রব্য বা সম্পত্তির খাজনা বা মুনাফা ও বুঝায়।
(৩) ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশক্রমে এইরুপ ব্যক্তি বা ব্যক্তিগনের উপর আদেশের একটি কপি সমন জারীর জন্য এই আইনে বর্ণিত পদ্ধতিতে জারী করিতে হইবে এবং অন্তত:পক্ষে একটি কপি নকল সুবিধাজনক স্থানে বা বিরোধের বিষয়বস্তর নিকটে লটকাইয়া প্রকাশ করিতে হইবে ।
(৪) দখল সম্পর্কে অনুসন্ধান: অত:পর ম্যাজিস্ট্রেট বিরোধের বিষয়বস্তুতে উক্তপক্ষসমূহের কাহার ও দখলের অধিকার গুণাগুণের বা দাবী প্রসঙ্গে না যাইয়া, পেশকৃত বিবৃতিসমূহ পাঠ করিবেন, পক্ষসমূহের বক্তব্য শ্রবণ করিবেন, তাহারা নিজ নিজ তরফে যে সাক্ষ্য হাজির করেন তাহা গ্রহণ করিবেন, এইরুপ সাক্ষ্যে ফলাফল বিবেচনা করিবেন, তিনি প্রয়োজন মনে করিলে অধিকতর সাক্ষ্য (যদি থাকে) গ্রহণ করিবেন এবং সম্ভব হইলে আদেশের তারিখে কোন পক্ষ উক্ত বিষয়বস্তর দখলে ছিলেন কিনা এবং কোন পক্ষ দখলে ছিলেন তাহা স্থির করিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত আদেশের তারিখের অব্যাহিত পূববর্তী দুই মাসের মধ্যে কোন পক্ষকে বলপূবর্ক ও অন্যায়ভাবে বেদখল করা হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি এইরুপ দখলচ্যুত পক্ষকে উক্ত তারিখে দখলকার ছিলেন বলিয়া বিবেচনা করিতে পারিবেন:
আর ও শর্ত থাকে যে, ম্যাজিস্ট্রেট যদি ঘটনাটিকে জরুরী বলিয়া মনে করেন তাহা হইলে এই ধারার অধীন সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে যে কোন সময় বিরোধের বিষয়বস্ত ক্রোক করিতে পারিবেন । পূবোর্ক্ত
(৫) এই ধারায় যাহাই থাকুক না কেন উক্তরুপে হাজির হইবার নিদের্শপ্রাপ্ত কোন পক্ষ বা অন্য কোন স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কারন দেখাইতে পারিবেন যে,পূবোর্ক্ত কোন বিরোধের অস্তিত্ব বর্তমানে নাই বা ছিল না; এবং এইরুপ ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট তাহার উক্ত আদেশ বাতিল করিবেন এবং পরবর্তী সমস্ত প্রক্রিয়া স্থগিত হইয়া যাইবে, তবে এইরুপ বাতিল সাপেক্ষে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক (১) উপধারায় অধীন প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে ।
(৬) আইনসংগতভাবে উচ্ছেদ না হওয়া পযর্ন্ত দখলে থাকা পক্ষ দখল বহাল রাখিবে:
ম্যাজিস্ট্রেট যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, পক্ষ সমূহের মধ্যে একপক্ষ বিরোধীয় বিষয়বস্তর দখলে ছিলেন বা (৪) উপ-ধারার প্রথম অনুশর্তের অধীন তাহাকে উক্ত বিসয়বস্তুতে দখলকার বলিয়া গন্য করা উচিত, তাহা হইলে যথাযথ আইনগত পদ্ধতির দ্বারা উচ্ছেদ না হওয়া পযর্ন্ত তিনি এই পক্ষ দখলের অধিকারী মর্মে ঘোষণা করিয়া এবং এইরুপ উচ্ছেদ না হওয়া পযর্ন্ত উক্ত দখলের প্রতি সকল ব্যাঘাত ঘটানো নিষিদ্ধ করিয়া একটি আদেশ দিবেন, এবং তিনি যখন (৪) উপ-ধারায় অনুশত অনুসারে অগ্রসর হন, তখন তিনি বলপূবর্ক বা অন্যায়ভাবে বেদখল হওয়া পক্ষকে দখলে পুনবর্হাল করিতে পারিবেন ।
(৭) এইরুপ কোন প্রসিডিংস এর কোন পক্ষ যখন মারা যায় তখন ম্যাজিস্ট্রেট মৃত পক্ষের বৈধ প্রতিনিধিকে প্রসিডিংস এর পক্ষ করাইতে পারিবেন এবং অত:পর তিনি অনুসস্ধান চালাইয়া যাইবেন এবং এইরুপ প্রসিডিংস এর উদ্দেশ্য কে মৃত পক্ষের বৈধ প্রতিনিধি তত্সম্পর্কে যদি এইরুপ প্রশ্ন উথাপিত হয় তাহা হইলে মৃতপক্ষের প্রতিনিধি বলিয়া দাবীকারী সকল ব্যক্তিকে পক্ষ করিতে হইবে ।
(৮) ম্যাজিস্ট্রেট যদি মনে করেন যে, এই ধারার অধীন তাহার বিবেচনাধীন কোন প্রসিডিং- এর বিষয়বস্ত কোন সম্পত্তির ফসল বা অন্য কোন উত্পন্ন দ্রব্য দ্রুত প্রাকিতিকভাবে নষ্ট হইতে পারে, তাহা হইলে তিনি উক্ত সম্পত্তি যথাযথ হেফাজত বা বিক্রয়ের আদেশ দিতে পারিবেন, এবং অনুসস্ধান সমাপ্ত হইবার পর উক্ত সম্পত্তি বা উহার বিক্রয়লব্ধ অথ বিলি বন্টনের জন্য তিনি যেরুপ উপযুক্ত বিবেচনা করেন সেইরুপ আদেশ দিবেন ।
(৯) ম্যাজিস্ট্রেট উপযুক্ত মনে করিলে এই ধারার অধীন গৃহীত কোন প্রসিডিংসে এর যে কোন পযায়ে যে কোন পক্ষের আবেদনক্রমে কোন সাক্ষীকে হাজির হইবার বা কোন দলিল বা বস্তু হাজির করিবার নিদের্শ দিয়া সমন প্রদান করিতে পারিবেন ।
(১০) এই ধারার কোন কিছুই তাহা ম্যাজিস্ট্রেটের ১০৭ ধারার অধীন অগ্রসর হইবার ক্ষমতা ব্যাহত করিবে বলিয়া গণ্য করা যাইবে না।
আলোচনা ও প্রয়োগ: ১৪৫ ধারার ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবে থানা ম্যাজাষ্ট্রেটের দ্বারা প্রয়োগ করতে হবে । স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত বিরোধ হতে উদ্ভুত শান্তি ভঙ্গ প্রতিরোধকল্পে ১৪৫ ধারা দখলরত যে কোন একপক্ষকে দখল বজায় রাখার মাধ্যমে দ্রুত প্রতিকারের বিধান করেছে । এই ধারার উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধীয় সম্পত্তির দখলে হস্তক্ষেপ করে উক্ত দখল সম্পর্কে অস্থায়ী আদেশ দিতে ম্যাজিষ্ট্রেটকে ক্ষমতা দেয়া এবং উক্ত আদেশের কাযর্কারিতা উপযুক্ত কোন আদালতের দ্বারা যে কোন একপক্ষে প্রকৃত অধিকার নিষ্পত্তি না হওয়া পযর্ন্ত বলবত্ থাকে ।
তাই এই ধারায় প্রদত্ত এখতিয়ারের ভিত্তির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো হচ্ছে (১) একটি বিরোধ (২) বিরোধটি ভূমির দখল সম্পর্কিত (৩) উহা শান্তি ভঙ্গ করতে পারে এবং এই উপাদানগুলো বিদ্যমান আছে মর্মে ম্যাজিষ্ট্রেট সন্তুষ্ট হলে তিনি হস্তক্ষেপ করার অধিকারী হন । ফৌজদারী আদালতের এখতিয়ার খুবই সীমিত এবং উহা শান্তি ভঙ্গের প্রতিরোধের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে ।১৪৫ ধারার কাযর্ধারা আধা বিচারিক এবং প্রকৃতিগতভাবে আধা প্রশাসনিক । ১৪৫ ধারার কখন ও কখন ও অপপ্রয়োগ হওয়ায় দেওয়ানী বিরোধ নিস্পত্তির জন্য পক্ষসমূহ ফৌজদারী আদালতের আশ্রয় নেয় কিনা তা সতর্কভাবে ম্যাজিষ্ট্রেটকে দেখতে হয়।
“বিরোধ” অর্থ ১৪৫ ধারানুযায়ী অগ্রসরের সময়ে দখলের প্রশ্নে পক্ষ সমূহের মধ্যে সত্যিকারভাবে বিদ্যমান মতানৈক্য ।ম্যাজিষ্ট্রেটের দায়িত্ব হচ্ছে অনুসস্ধানের মাধ্যমে পাওয়া প্রকৃত দখলে থাকা ব্যক্তির দখল ঘোষণা করা ও উক্ত দখল বজায় রাখা ।১৪৫ ধারার উপধারা (৪) এর শর্ত অনুযায়ী এইধরনের আদেশ প্রদানের তারিখ হতে পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে কোন ব্যক্তি দখলচ্যুত হলে ঐ তারিখে তিনি বিরোধীয় ভূমির দখলে ছিলেন বলে বিবেচিত হবেন ।
দেওয়ানী আদালতে মামলা:
এ বিষয়ে ১৮৭৭ সালের সুনি্দিষ্ট প্রতিকার আইন এর ৯ ধারার বিধান হলো যিনি ভুমি হতে বেদখল হয়েছেন তাকে বেদখল হওয়ার তারিখ হতে ৬ মাসের মধ্যে মধ্যে দখল পুনরুদ্বারের দাবিতে দেওয়ানী আদালতে মামলা করতে হবে ৷ ৬ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলে মামলা তামাদি দোষে বারিত হবে ৷ এভাবে ৯ ধারায় মামলা করে আদালতের মাধ্যমে দখল পুনরুদ্বার করা যায় ৷ তবে ৯ ধারার মামলার স্বত্বের (মালিকানা) প্রশ্নটি বিচায হবে না ৷ এর জন্য ৪২ ধারায় প্রতিকার আছে ৷ এই ধারায় কোন ব্যক্তির জমির স্বত্ব যদি অস্বীকার করা হয় তবে তিনি এই ধারায় প্রতিকার চাইতে পারেন ৷ ৯ ধারায় মামলার প্রতিকার শুধু দখল সংক্রান্ত ৷
আদালতের মাধ্যমে দখল পুনরুদ্বার করা যায়৷ তবে ৯ ধারার মামলার স্বত্বের প্রশ্নটি বিচায হবে না ৷ এমনকি বাদী যদি সম্পত্তিতে নিজের স্বত্ব (মালিকানা) প্রমাণে সমথ নাও হন কেবল বেদখল হওয়ার আগে পযন্ত দখলে থাকা প্রমাণ করতে পারেন তবেই তিনি তার পক্ষে ডিক্রী পেতে পারেন ৷ সুনিদিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারা মতে প্রদত্ত ডিক্রী বা আদেশের বিরুদ্বে আপিল বা রিভিউ করার কোন বিধান নেই ৷তবে মহামান্য হাইকোটে রিভিশন করা যাবে ।
কিন্ত সরকার কতৃক বেদখল হলে এ আইনে কোন প্রতিকার পাওয়া যাবে না । তবে সম্পত্তিতে যার বৈধ মালিকানা স্বত্ব আছে তিনি কোন কারণে বেদখল হলে ,বেদখল হওয়ার ১২ বছরের মধ্যে [ তামাদি আইন ১৮৭৭ সালের সুনিদিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ধারা মতে দেওয়ানী আদালতে মামলা করে সম্পত্তির দখল পুনরুদ্বার করতে পারেন ৷
এ ধারায় মামলায় সম্পত্তিতে বাদীর মালিকানা স্বত্ব থাকতে হবে ৷
সুনিদিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭
ধারা ৮৷ সুনিদিষ্ট স্থাবর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার:
সুনিদিষ্ট স্থাবর সম্পত্তির দখলের অধিকারী ব্যক্তি দেওয়ানী কাযবিধি অনুযায়ী তা নিধারিত পন্থায় পুনরুদ্ধার করতে পারে৷
বিশ্লেষণ
১৷ ধারাটির প্রতিপাদ্য বিষয়:
ধারা ৮ এর প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয় হলো যদি কোন ব্যক্তি দখলভুক্ত কোন স্থাবর সম্পত্তির দখলচ্যুত বা দখল হারিয়ে ফেলে তবে সে ব্যক্তি দেওয়ানী বিধির বিধান মোতাবেক তা উদ্ধার করতে পারবে ৷
২৷ দখল কি:
দখল বলতে সাধারণত কোন কিছুর উপর নিয়ন্ত্রণকে বুঝায়৷ এ ধারার দখল বলতে ব্তমান দখলকেই নিদেশ করা হয়েছে৷ দখল প্রত্যক্ষ হয়ে থাকে।
তবে এমন সম্পত্তি আছে স্প্শত দখল করা যায় না৷ যেমন ব্যবসায়ের সুনাম৷এতদ্ব্যতীত দখলের আবার দুটি দিক রয়েছে-(ক) অবয়বগত বা দেহের অধিকার এবং (খ) মনের ইচ্ছা৷ যেমন শহরে বসবাসকারী ব্যক্তির গ্রামের বাড়ীর সম্পত্তির দখল৷ এখানে উক্ত জমির উপর ব্যক্তির মনের অধিকার রয়েছে৷ কোন সম্পত্তির উপর যদি কোন মনের অধিকার না থাকে তবে তা দখলভুক্ত নহে৷ দৈহিক দখল না থেকেও যদি মনের দখল থাকে, তবে তা দখলভুক্ত বলে বিবেচিত হয়৷ অন্যের জমির উপর দিয়ে যাওয়া রাস্তায় আপনি হাটেন, অথচ উক্ত জমির মালিক আপনি নন । এক্ষেত্রে আপনি উহার মালিক নন ।
ধারা ৯৷ স্থাবর সম্পত্তির দখলচ্যুত ব্যক্তি কতৃক মামলা (Suit by person dispossed Of immovable Property): যথাযথ আইনগত পন্থা ব্যতিরেকে যদি কোন ব্যক্তি তার অসম্মতিতে স্থাবর সম্পত্তির দখলচ্যুত হয়, তবে সে অথবা তার মাধ্যমে দাবিদার কোন ব্যক্তি মামলার মাধ্যমে তার দখল পুনরুদ্ধার করতে পারে, যদিও তেমন মামলায় অপর কোন স্বত্ব খাড়া করা হতে পারে, তথাপিও ৷
এই ধারার কোন কিছুই তেমন সম্পত্তির ব্যাপারে নিজের স্বত্ব প্রতিষ্ঠা এবং তার দখল পুনরুদ্ধার করার জন্য কোন ব্যক্তি কতৃক মামলা দায়েরের পথে প্রতিবন্ধক হবে না ।
তামাদি: দখলচুতির ১২ বছরের মধ্যে মোকদ্দমা করতে হবে৷
ধারাটির মূল বক্তব্য:
ধারা-৯ এর মূল বক্তব্য হলো আইনগত পন্থা ছাড়া দখলচ্যুত ব্যক্তি সম্পত্তিতে তার কোন স্বত্ব থাক বা না থাক, উক্ত দখলচ্যুত স্থাবর সম্পত্তির দখল উদ্ধারের জন্য মোকদ্দমা দায়েরের মাধ্যমে তা উদ্ধার করতে পারে৷ তবে সম্পত্তিতে প্রকৃত স্বত্ববান ব্যক্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মামলা দায়েরের কোন প্রতিবন্ধকতা থাকে না । সরকারের ক্ষেত্রে এ ধারার কোন প্রয়োগযোগ্যতা নেই । আদালত যে আদেশ দেবে তার বিরুদ্ধে আপীল বা পুনবিবেচনার আবেদন করা যাবে না ।
ধারা-৪২৷ মযাদা বা অধিকার ঘোষণা সম্পকে আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতা।- আইনানুগ পরিচয় কিংবা কোন সম্পত্তির স্বত্বের অধিকারী কোন ব্যক্তি এমন যে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে পারে যে, তেমন মযাদা বা অধিকারের ব্যাপারে তার স্বত্ব অস্বীকার করেছে কিংবা অস্বীকার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, এবং আদালত তার ইচ্ছাধীন এবং তেমন মামলায় আরও কোন প্রতিকার দাবি করা বাদীর জন্য আবশ্যক নয় ৷ তেমন ঘোষণার সাথে প্রতিবন্ধকতা- তবে শত থাকে যে, যেখানে দাবি কেবলমাত্র স্বত্বের ঘোষণা ছাড়াও আরও প্রতিকার দাবি করতে সমথ, কিন্তু তা করা হতে বিরত থাকে, সেখানে আদালত তেমন ঘোষণা প্রদান করবেন না ।
ব্যাখ্যা৷- একটি সম্পত্তির জিম্মাদার এমন একটি স্বত্ব অস্বীকার করতে আগ্রহী ব্যক্তি, যে জীবিত নয় এমন এক ব্যক্তির স্বত্বের প্রতিকূল এবং যদি সে বেঁচে থাকত, তবে সে তার জন্য একজন জিম্মাদার হতো৷
কারা সাহায্য করবে: সম্পত্তি বেদখল সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনে সালিশ মীমাংসার মাধ্যমে আপোষ করার ক্ষেত্রে কিছু বেসরকারী সংগঠন(এন .জি .ও) সহায়তা করে থাকে ৷ তার মধ্যে নিম্নলিখিত এন.জি.ও এর নাম ও ঠিকানা দেওয়া হলো –
১) ব্লাষ্ট (বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সাভিসেস ট্রাষ্ট) ১৪১/১, সেগুনবাগিচা, ঢাকা -১০০০
ফোন – ৮৮০২ – ৮৩১৭১৮৫, ৯৩৪৯১২৬ ৷
২) বাঁচতে শেখা [ জনাবা এঞ্জেলা গোমেজ, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, শহীদ মশিউর রহমান রোড, আরবপুর, যশোর ৷ ফোন – ০৪২১ ৬৬৪৩৬, ৭৩২৩৮ ৷
৩) মাদারীপুর লিগ্যাল এইড এসোসিয়েশেন [জনাব খান মোহাণ্মদ ,শহীদ, প্রধান সমন্বয়কারী, নোতাম সাহার, মাদারীপুর, ফোন – ০৬৬১ ৫৫৫১৮, ৫৫৬১৮ ৷
৪)বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা – এডভোকেট এলিনা খান ,১৫৩ মনিপুরীপাড়া , ফামগেইট, ঢাকা ৷