অন্যান্য ফলের মতো লিচুতেও প্রাকৃতিক চিনি থাকে। কিন্তু লিচুতে যে ধরনের চিনি পাওয়া যায় তা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তেমন অনিরাপদ নাও হতে পারে। কারণ লিচুতে ফ্রুক্টোজ থাকে যা বিপাকের জন্য ইনসুলিনের প্রয়োজন হয় না। তবে বিশেষজ্ঞরা ডায়াবেটিস রোগীদের এই ফলটি পরিমিতভাবে খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এটি অতিরিক্ত খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। পুষ্টিবিদ শ্বেতা জে পাঞ্চাল ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যে ডায়াবেটিস রোগীদের লিচু খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
১. পরিমিত খান
আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে এবং লিচু খেতে চান তবে অবশ্যই পরিমাপের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। পুষ্টিবিদ পাঞ্চালের মতে, অল্প পরিমাণে লিচু খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করতে পারে। তিনি শেয়ার করেছেন যে, দিনে পাঁচ থেকে ছয়টি লিচু খেলে তা আপনার চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে ক্ষতি করবে না।
২. অন্যান্য খাবারের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখুন
যেহেতু লিচুতে ক্যালোরি বেশি, তাই বাদাম এবং চর্বিহীন প্রোটিনের মতো কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) আছে এমন খাবারের সঙ্গে এটি মিশিয়ে খান। এটি রক্তে শর্করার মাত্রায় লিচুর প্রভাবের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।
৩. গ্লাইসেমিক লোড বিবেচনা করুন
গ্লাইসেমিক লোড হলো সেই সংখ্যা যা নির্ধারণ করে যে কোনো খাবার খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা কতটা বাড়াবে। পুষ্টিবিদ পাঞ্চালের মতে, লিচুর একটি মাঝারি গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই), ফাইবার থাকায় এর গ্লাইসেমিক লোড কম। এর মানে এটি অন্যান্য ফলের মতো রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে না।
৪. সময় এবং পর্যবেক্ষণ
আপনি যদি ডায়াবেটিক হয়ে থাকেন তবে সুষম খাবারের অংশ হিসেবে লিচুকে রাখতে করতে ভুলবেন না। আপনার শরীরের ওপর এর প্রভাব বুঝতে এটি খাওয়ার পরে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নোট করুন। এতে লিচু খাওয়ার পর কোনো পরিবর্তন হচ্ছে কি না তা বোঝা সহজ হবে।