ডিটক্স ডায়েট। কথাটা নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন। ডিটক্স ডায়েটের অর্থ হল শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয়, বর্জ্য পদার্থ দূর করে শরীর পরিষ্কার রাখা। অনেক রকম ডিটক্স ডায়েটের কথাই ডায়েটিশিয়ানরা বলে থাকেন। ডিটক্স করার মূল অর্থ হল শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া। আর বিশ্রাম দেওয়ার জন্য সবচেয়ে ভাল উপায় উপোস। সেই সঙ্গেই শুধু মেনে চলুন সহজ কয়েকটা নিয়ম। জেনে নিন তিন দিনের এক সহজ ডিটক্স ডায়েট।
১ম দিন
সল্ট ওয়াটার ফ্লাশ
যদি প্রতি দিন আপনি ১-৩ বার মলত্যাগ না করেন তা হলে আপনার শরীর সুস্থ নয়। আপনার কোলনে বর্জ্য জমে শরীর যেমন বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে, তেমনই বাড়তে পারে ওজন। নুন-জল কোলন ডিটক্স করতে সাহায্য করে।
কী ভাবে খাবেন
এক লিটার গরম জলে ২ টেবল চামচ সামুদ্রিক নুন মিশিয়ে নিন। ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিয়ে এক সঙ্গে পুরোটা পান করুন। এই জল খাওয়ার পর অন্তত ২ ঘণ্টা বাড়ি থেকে বেরোবেন না। কারণ, যখন তখন বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে।
সল্ট ওয়াটার ফ্লাশের পর ১ টুকরো লেবুর রস মিশিয়ে গরম জল খান। এই জল টক্সিন দূর করার পাশাপাশি শরীরে ভিটামিন সি-র জোগান দেবে।
গরম জলে স্নান করে রিল্যাক্স করুন। কোনও কৃত্রিম শাওয়ার প্রডাক্ট ব্যবহার করবেন না। শ্যাম্পুর বদলে বেকিং সোডা, কন্ডিশনারের বদলে অ্যাপল সিডার ভিনিগার ব্যবহার করতে পারেন। তেমনই ফেস মাস্ক হিসেবে অ্যাভোকাডো ও ময়শ্চারাইজার হিসেবে নারকেল তেল ব্যবহার করুন।
২য় দিন
সকালে সম্ভব হলে আরেক বার সল্ট ওয়াটার ফ্লাশ করতে পারেন। এ দিন ব্যাপারটা অনেক সহজ হবে যেহেতু আগের দিনই আপনার কোলন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
বাইরে হাঁটতে যান। হাঁটার আগে ও পরে হালকা স্ট্রেচ করুন। ফ্রেশ হাওয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাস নিন।
স্নানের আগে শরীরে ড্রাই ব্রাশিং করুন। এতে ত্বকের মরা চামড়া দূর হবে ও লসিতা তন্ত্র থেকে বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে যাবে।
৩য় দিন
এই দিনটা রিল্যাক্স করার জন্য।
একটু দুর্বল লাগতে পারে। তাই ভারী কোনও কাজ না করে বাইরে হাঁটতে যান। খোলা হাওয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাস নিন।
এনার্জি বাড়াতে ১ চামচ নারকেল তেল খেতে পারেন। এতে শরীরে হেলদি ফ্যাট ও ক্যালরি পৌঁছবে।
উপোস ভাঙার সময় হলে সামুদ্রিক নুন, গোলমরিচ গুঁড়ো ছড়িয়ে সবুজ আপেল, অ্যাভোকাডো খেতে পারেন।
এরপর বেশ কিছু দিন কাঁচা সব্জি, টাটকা ফল খান বেশি করে। নতুন কোনও খাবার যখনই খাবেন তখন শরীর কী ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে সে দিকে খেয়াল রাখুন।
যে অসুবিধাগুলো হতে পারে
মাথা যন্ত্রণা: যদি আপনার নিয়মিত কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে তা হলে এই সমস্যা হতে পারে।