সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে কোন “র” ডেটাকে (Row Data) পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিষ্কার ও রূপান্তরের প্রক্রিয়াকে ডেটা এনালাইসিস বলে। অর্থাৎ ব্যবসায়িক বা ব্যক্তিগত উন্নয়নের জন্য অতীতের ভুল এবং ভবিষ্যৎ স্বপ্ন মিলিয়ে সেখান থেকে বর্তমানে কি করলে ভালো হবে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়াটি ডেটা এনালাইসিস।
আমরা জানি বর্তমান সময় হলো ডেটার স্বর্ণযুগ। এই সময় যে প্রতিষ্ঠানের কাছে যত ডেটা আছে সে তত শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। আমরা গুগল, ফেসবুক যা দেখি সব ডেটার উপর আধিপত্য বিচার করে টিকে আছে। ইন্টারনেটে বর্তমানে যা কিছু চলে তার সব কিছুই ডেটার উপর ভিত্তি করে। ফেসবুক এবং গুগলের কাছে প্রায় প্রতিটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ডেটা আছে।
ধরুন আপনি গুগলে একটি ঘড়ি নিয়ে সার্চ দিলেন। একটু পর ফেসবুকে নোটিফিকেশন চেক করতে গিয়ে দেখলেন সেখানে ঘড়ির অ্যাড দেখাচ্ছে বা ঘড়ি বিক্রি করে এমন পেজের সাজেশন দিচ্ছে। তাহলে ফেসবুক আপনার মাইন্ড রিড করলো কীভাবে যে আপনি ঘড়ি খুঁজছেন?
ফেসবুক এই কাজটি করেছে গুগল থেকে আপনার সার্চ ডেটা কিনে নিয়ে তাদের অ্যালগরিদম দিয়ে তা এনালাইসিস করে আপনার প্রোফাইলের জন্য বিশেষভাবে এই অ্যাড ক্যাম্পেইন চালু করেছে। এভাবে অনলাইনে আমরা যে সকল অ্যাড দেখি তার সব আমাদের ডেটা এনালাইসিস করে তৈরি করা।
অন্যদিকে, আপনি যদি আপনার কম্পিটিটরকে পেছনে ফেলতে চান তাহলে পুরো মার্কেট রিসার্চ করে প্রয়োজনীয় ডেটা সংগ্রহ করতে হবে। সেই ডেটা থেকে আপনার কম্পিটিটর কীভাবে ভালো সেল করছে তা খুঁজে বের করতে হবে। পরবর্তীতে সেই ডেটার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা নতুন পদ্ধতি আপনার বিজনেসে প্রয়োগ করতে হবে। এই সম্পূর্ণ কাজ করে দেবে অটোমেশন অথবা কোনো ডাটা এনালিস্ট।
সঠিক ব্যবসায়িক পরিকল্পনা গ্রহণ : যে কোনো ব্যবসায় সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক্ষেত্রে কি কি ব্যবসা করা যায় তা ব্যবসার পূর্বে দেখতে হবে এবং বিশ্লেষণ করতে হবে। এবং কি ব্যবসা করা যায় তা প্রথমেই নির্ধারণ করতে হবে। বাজারে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। এবং নতুন ব্যবসা পরিকল্পনা গ্রহনের পূর্বেই উক্ত ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিতে হবে।
নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : একজন সফল ব্যবসায়ী হতে হলে সর্বপ্রথম নিজেকে সৎ, নিষ্ঠাবান, আদর্শ ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এবং ব্যবসা কিভাবে করতে হয় তা জেনে নিতে হবে।
সঠিক মানুষ বেছে নেওয়া : ব্যবসার ক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিক মানুষ বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যদি ব্যবসায়িক পার্টনার সঠিক ও নিষ্ঠাবান না হয়, তাহলে ব্যবসার উন্নতি করা যায় না। তাই ব্যবসার উন্নতির জন্য সবসময় সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিকেই বেছে নিতে হবে।
যোগ্য জনবল নিয়োগ : ব্যবসায়ীক ক্ষেত্রে যদি কোনো জনবল নিয়োগের প্রয়োজন হয় তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই যোগ্য জনবল নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন কারণ যে কোনো ব্যবসায় এদের সরাসরি ভূমিকা থাকে। তাই ব্যবসার উন্নতির জন্য জনবল নিয়োগে সচেতন হতে হবে।
আয়ের প্রতিষ্ঠিত উপায় ব্যবহার করুন : ব্যবসায় সফল হতে হলে আয়ের যেসব প্রতিষ্ঠিত উপায় রয়েছে সেগুলো যথাযথ ভাবে ব্যবহার করা উচিত। এতে ব্যবসায় দ্রুত সফলতা অর্জনের সম্ভাবনা থাকে।
ঝুকি কমান : বর্তমানে লাভজনক ব্যবসা গুলোতে বিভিন্ন ধরনের ঝুকি দেখা যায়। তাই সফল ব্যবসায়ী হতে হলে ব্যবসায় ঝুকি কমানো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এজন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক কৌশল অবলম্বন করে ব্যবসায় ঝুকির পরিমান কমিয়ে ব্যবসার উন্নতি করতে হবে।
মানিয়ে চলুন : ব্যবসায় উন্নতির মন্ত্র হলো মানিয়ে চলা অর্থাৎ বাজারের অন্য সফল ব্যবসায়িদের ব্যবসার সাথে, অন্য সফল ব্যবসায়িদের মাল, মান বা সেবার দর বা মূল্যের সাথে মানানসই বা ভারসাম্যপূর্ণ থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%ab%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%9b/
ক্রেতাদের প্রতি মনযোগী হওয়া : মূলত ব্যবসায় দ্রুত উন্নতির উপায় হলো ক্রেতাদের প্রতি মনযোগী হওয়া যা ব্যবসায় উন্নতির কৌশল। একজন সফল ব্যবসায়ী হতে হলে অবশ্যই তাকে তার ক্রেতাদের প্রতি নজর রাখতে হবে ও মনযোগী হতে হবে। আর এটা মহান ব্যক্তিদের ব্যবসায় সাফল্যের জন্য উপদেশ।