ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার সঙ্গে বিতর্ক যেন পাশাপাশি মিশে থাকে। কদিন আগেই ধর্ষণের দায়ে জেল হয়েছিল তারকা ফুটবলার দানি আলভেজের। ১৪ মাস জেল জীবন পার করে গতকালই পেয়েছেন জামিন। কিন্তু এরপরেই আরও এক নেতিবাচক সংবাদ শুনতে হলো সেলেসাও ভক্তদের। ধর্ষণের অভিযোগে এবার জেলে যেতে হচ্ছে ফরোয়ার্ড রবিনহোকে।
তবে রবিনহোর এই শাস্তির বিষয়টি কিছুটা গোলমেলে। সাবেক এই তারকা অপরাধ করেছেন ইতালিতে। কিন্তু এর শাস্তি তিনি ভোগ করবেন নিজ দেশ ব্রাজিলে। ২০১৩ সালে ইতালিতে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত হন রবিনহো। সেই অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে ইতালির আদালত। তাতে শাস্তিও হয়েছে তার। কিন্তু, ফুটবলার রবিনহো তো ইতালিতে নেই।
গতকাল ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় তাই ভোটাভুটি হয়। কোন দেশে সাজা খাটতে হবে, এ নিয়ে ভোটাভুটি হয়েছে। ৯টি ভোট পড়েছে ইতালিয়ান আদালতের শাস্তি দাবির পক্ষে আর ২টি ভোট পড়েছে রবিনহোর পক্ষে।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, খুব দ্রুতই রবিনহোর সাজার মেয়াদ শুরু করতে হবে। রায় ঘোষণার সময় সাবেক এই ফুটবলার উপস্থিত ছিলেন না। তার পক্ষে আদালতে ছিলেন আইনজীবী জোসে আলকমিন। সাংবাদিকদের তিনি জানান, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন এবং তিনি রবিনহোকে জেলের বাইরে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।
ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানে খেলাকালীন ২০১৩ সালে মিলানের এক নৈশ ক্লাবে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে রবিনহোর বিরুদ্ধে। সেই নারী নিজের জন্মদিনে ওই নৈশ ক্লাবে গিয়েছিলেন। সেখানেই রবিনহোসহ আরও কয়েকজনের হাতে নির্যাতিত হন তিনি।
যদিও রবিনহো শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন। তিনি জানান, নারীর সঙ্গে সবকিছু পারস্পরিক সম্মতিতেই হয়েছিল। তিনি এও দাবি করেন, ওই নারী পুরোপুরি মাতাল ছিল। এমনকি তার সঙ্গে কী হয়েছিল, সেটাও জানতো না।
ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৭ সালে রবিনিওকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেয় ইতালির আদালত। এরপর ২০২০ সালে এর বিরুদ্ধে আপিল করেন এই তারকা। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ২০২২ সালে রায় আসে। তাতেও দোষী প্রমাণিত হন রবিনহো।