বিপ্লব চ্যাটার্জী, দুলাল লাহিড়ী, মৃণাল মুখার্জীদের মত খলনায়কদের পাশাপাশি ৯০ এর দশকে টলিউড (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রিতে আরও এক অভিনেতা খলনায়ক হিসেবে দাগ কেটেছিলেন দর্শকদের মনে। তার চোখ দেখলেই শিউরে উঠতেন দর্শকরা। নাম তার সুমিত গাঙ্গুলী (Sumit Ganguly)। প্রসেনজিৎ, মিঠুন, চিরঞ্জিত থেকে শুরু করে বর্তমান প্রজন্মের নায়ক দেব (Dev), জিৎ (Jeet), হিরণদের বিপরীতে কাজ করেছেন সুমিত।
টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কয়েক দশক কাটিয়ে ফেলেছেন সুমিত। বর্তমান সুপারস্টারদের প্রায় প্রত্যেকের সঙ্গেই তার দারুণ সদ্ভাব বজায় রয়েছে। তবে মাঝেমধ্যেই টলিউড সম্পর্কে বিস্ফোরক কিছু মন্তব্য করে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম দখল করে নেন সুমিত। কখনও বলেন, টলিউডের পরিচালকরা সব ‘আঁতেল’! আবার কখনও দেব-জিৎকে বলেন ‘হারামজাদা’!
তারকাদের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্টেজ শোতে উপস্থিত থাকতে হয়। নায়ক-নায়িকা, খলনায়ক নির্বিশেষে সকলেরই ডাক পড়ে সাধারণের মাঝে উপস্থিত হওয়ার জন্য। সেরকমই একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে সুমিত গাঙ্গুলী দেব ও জিৎকে নিয়ে এরকম মন্তব্য করেন। যদিও তিনি কথা বলেছিলেন মজার ছলে। ঠিক কী বলেছিলেন তিনি বর্তমান প্রজন্মের দুই সুপারস্টার সম্পর্কে?
সুমিতকে বলতে শোনা যায়, “দেব আর জিৎ দুজনেই হারামজাদা। দৃশ্যের শুরু থেকেই আমায় মারতে শুরু করবে যতক্ষণ না আমি মার খেয়ে শুয়ে পড়ি।” তিনি আরও বলেন, “আমি কোনও সিনেমায় যদি ভারী ডায়লগ দিই তারপর হিরো এমন ডায়লগ দেবে আমার ডায়লগ এমনই নেতিয়ে যাবে।” তারপর বলেন, “হিরোর ডায়লগ শুনে মনে হয় বাড়িতে এনে খাওয়াই। আর আমার ডায়লগ শুনলে লোকের মনে হয় জুতোর বাড়ি দিয়ে দিই।”
সুমিত গাঙ্গুলী টলিউডে পা রেখেছিলেন হিরো হওয়ার জন্য। তবে ‘কেঁচো খুঁড়তে কেউটে’ সিনেমাতে খলনায়ক হওয়ার পর তার জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে তিনি আর নায়ক হওয়ার সুযোগ পাননি। এরপর একের পর এক জনতার আদালত, ঝিনুক মালা, সংসার সংগ্রাম, অন্যায় অত্যাচার, এমএলএ ফাটাকেষ্ট, যুদ্ধ, ঘাতক, টাইগার, দেবীপক্ষ, চ্যালেঞ্জ ২, ১০০% লাভ, হিরোগিরি, লে হালুয়া লে, হইচই আনলিমিটেড, জোর, আই লাভ ইউ, মিনিস্টার ফাটাকেষ্ট, বলো না তুমি আমার, বিন্দাস, বেশ করেছি প্রেম করেছি এর মত সিনেমাতে তিনি অভিনয় করেন।
রচনা ব্যানার্জীর ‘প্রাক্তন স্বামী’ কারা? কেন ভেঙেছিল রচনার ২ বিয়ে!
সুমিত গাঙ্গুলী টলিউডের বর্তমান প্রজন্মের পরিচালকদের সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেন, “এখনকার যে সমস্ত পরিচালকরা কাজ করছেন তারা সবাই আঁতেল, সিনেমা কাকে বলে জানেই না। এরা মানুষের আবেগ জানে না। এরা কখনও কমার্শিয়াল সিনেমা নিয়ে কাজ করেনি। সিনেমায় যদি মারধরের সুযোগ না থাকে তাহলে কীভাবে আমরা কাজের সুযোগ পাবো? আগের মত ঝাঁ চকচকে উপস্থাপন নেই, মশলাদার গল্প নেই, তাই আমাদের মত খলনায়কের জায়গাও নেই”।