বিশ্বকাপ আসছে, আর ফেবারিটের তালিকায় অস্ট্রেলিয়া নেই এমনটা আসলে হওয়ার নয়। ২০২১ সালে ক্ষুদ্রতম এই সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। এরপর ঘরের মাঠে যদিও সেটা আর ধরে রাখা হয়নি। ২০২৩ সালটা অবশ্য অস্ট্রেলিয়া একান্তই নিজেদের করে রেখেছিল। প্রথমে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আর পরে ওয়ানডে বিশ্বকাপটাও জয় করেছে তারা।
অস্ট্রেলিয়ার সামনে এবার অন্যরকম এক রেকর্ড গড়ার হাতছানি। প্রথম দল হিসেবে তিন ফরম্যাটেই আইসিসি শিরোপা নিজেদের করে নেয়ার সুযোগ থাকছে তাদের সামনে। আর সেই লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তুতিও হয়েছে ঠিকঠাক। বিশ্বকাপের পুরো দলকে এখনো বুঝে পায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। আইপিএলের ফাইনাল খেলা তারকারা এখনো নিজের দেশে বিশ্রামে আছে।
কিন্তু এরপরেও নয় জনের অস্ট্রেলিয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যা করে দেখিয়েছে, তা একপ্রকার বার্তাই দিয়ে রাখছে বাকি দেশগুলোকে। নিজেদের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া হেরেছে ঠিকই। কিন্তু রানতাড়া করতে নেমে উইন্ডিজ বোলারদের বিপক্ষে তাদের ২২২ রান জড়ো করা নিঃসন্দেহে বড় সামর্থ্যের জানান দিয়েছে।
নয় জনের এই দলটিই খেলেছিল নামিবিয়ার বিপক্ষে। নির্বাচক জর্জ বেইলি, সহকারী কোচ ব্র্যাড হজ কিংবা কোচ অ্যান্ডু বোরোভেচ নিজেদের অদল বদল করে ফিল্ডিং করেছেন। দলে যোগ দেননি আইপিএলের ফাইনাল খেলা প্যাট কামিন্স আর মিচেল স্টার্ক। স্বাভাবিকভাবেই অজিদের বোলিং লাইনআপের শক্তিমত্তায় ধাক্কা এসেছে। বাধ্য হয়ে বোলিং করেছেন পার্ট-টাইমার টিম ডেভিড।
এমন বোলিং লাইনআপকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ মোটা দাগে শাসনই করেছে। নিকোলাস পুরান ৫ চার ও ৮ ছক্কায় করেছেন ২৫ বলে ৭৫ রান। অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলের ২৫ বলে ৫২ রানের ইনিংসে ছিল ৪টি করে চার ও ছক্কা। ১৮ বলে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে শেরফ্যান রাদারফোর্ডও মেরেছেন ৪টি করে চার ও ছক্কা।
সবমিলিয়ে উইন্ডিজদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৪ উইকেটে ২৫৭। জবাবে অস্ট্রেলিয়া করেছে ২২ রান। উইকেট হারিয়েছে ৭টি। তবে ম্যাচ হারলেও নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিয়ে রেখেছে ভালোভাবেই।
ব্যাট করতে নেমে অজিরা পায়নি মার্কাস স্টয়নিস, ট্রাভিস হেডদের মতো আইপিএল খেলা তারকাদের। ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গী হয়ে নেমেছিলেন অ্যাস্টন অ্যাগার। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ১৩ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলেছেন অ্যাগার। জশ ইংলিশ করেছেন ৩০ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৫৫ রান। টিম ডেভিড আর ম্যাথু ওয়েডদের মতো স্বীকৃত ব্যাটার তো বটে, নাথান এলিসও দেখিয়েছেন ব্যাটিং সামর্থ্য। ২২ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেছেন এই পেসার।
অস্ট্রেলিয়া হেরেছে, সেই খবরের চেয়েও বড় বার্তা এখন হয়ত তাদের এমন আগ্রাসী ক্রিকেটই। বিশ্বকাপে মূল দল এলে তারা যে আরও বিধ্বংসী রূপ দেখাবে, সেটাই যেন আগেভাগে জানান দিয়ে রেখেছে নয় জনের দলটি।