ভারতীয় বাংলা সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। নানা কারণে বছরজুড়ে আলোচনায় থাকেন ‘ঠোঁটকাটা’ স্বভাবের এই নায়িকা। তার পরবর্তী ওয়েব সিরিজ ‘বিজয়া’। এতে একজন লড়াকু মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
খুব শিগগির হইচইয়ে মুক্তি পাবে স্বস্তিকার ‘বিজয়া’। এ সিরিজের মুক্তি উপলক্ষে হিন্দুস্তান টাইমসকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন স্বস্তিকা। সিরিজটির নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনও উঠে এসেছে।
এ আলাপচারিতায় স্বস্তিকার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ওয়েব সিরিজের গল্পের মতো বাস্তবজীবনে আপনিও খুব স্পষ্ট বক্তা। এজন্য বিতর্কে জড়াতে হয়। এতে করে আপনার ভয় করে না?
এ প্রশ্নের জবাবে স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, ‘আমি খুবই নির্ভীক। আমার মধ্যে ভয়টা খুব কম। আমি এটা বললে, মানুষ আমাকে গালাগাল দেবে, ভয় দেখাবে এগুলো ভেবে পিছিয়ে যাই না। আর লোকে কী বলবে? লোকে আমাকে নিয়ে কী ভাববে? এটা আমাকে একেবারেই বিচলিত করে না। তাই আমার যেটা ঠিক মনে হয়, আমি সেটাই করি।’
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, ‘এমনিতেই নারীদের অ্যাটাক বা আক্রমণ করার সোজা পথ হলো, তাকে ‘বেশ্যা’ বলে দেওয়া। আমি এত বছর ধরে সিনেমায় কাজ করছি, এত ছোট বয়স থেকে এই শব্দটা শুনে আসছি যে, এখন আমার কাছে আর কিছু মনে হয় না। উল্টো আমি সম্মানিত বোধ করি। কোথাও মনে হয় যে, তারাও তো আমাদের সমাজেরই একটা অংশ, তাহলে কেন এটা নিয়ে লজ্জিত হব।’
স্বস্তিকার ব্যক্তিগত জীবনের গল্পটাও সংগ্রামে ভরা। কারণ ১৯৯৮ সালে জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনকে বিয়ে করেন স্বস্তিকা মুখার্জি। বাবা-মায়ের পছন্দে এ বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে সংসার জীবনে ছন্দপতন ঘটে।
এরপর দুধের শিশু কোলে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসেন স্বস্তিকা। তারপর সিঙ্গেল মাদার হিসেবে কন্যা অন্বেষাকে বড় করেছেন এই নায়িকা; মেয়েই এখন স্বস্তিকার বেস্ট ফ্রেন্ড। কিছুদিন আগে অন্বেষা মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেছেন। পিএইচডি করাতে খুব শিগগির মেয়েকে বিদেশে পাঠাবেন স্বস্তিকা।