আধুনিক নারীদের ঘরে-বাইরে সমানভাবে কাজ করতে হয়। ব্যস্ত জীবনে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে ঠিকমতো খেয়াল রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু শরীর সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর একটা ডায়েট মেনে চলা উচিত প্রতিটি নারীর, আর কিছু ভিটামিন অবশ্যই ডায়েট চার্টে থাকা দরকার। এই ভিটামিনগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও নানা শারীরিক সমস্যা সমাধান করে থাকে।
ভিটামিন এ
ভিটামিন এ সব বয়সী নারীদের জন্য প্রয়োজনীয়। নিয়মিত গ্রহণে এই ভিটামিন দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার ঝুঁকি কমায়, দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়, বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করে। টমেটো, তরমুজ, পেয়ারা, ব্রকলি, পেঁপে, পাকা আম, মিষ্টি কুমড়া, গাজর, দুধ, কলিজা, লাল শাক, বিভিন্ন সবুজ শাক, ছোট মাছে ভিটামিন এ রয়েছে।
ভিটামিন বি
লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করে ভিটামিন বি৬। স্মৃতি হারানোর সমস্যা কমতে সাহায্য করে এই ভিটামিনটি। ভিটামিন বি৯ ফলিক অ্যাসিড নামে পরিচিত যা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডিপ্রেশন, ক্যানসার ও মেমোরি লস প্রতিরোধ করে। ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার হল মাছ, মাংস, বিনস, ওটমিল, পালং শাক, ছোলা, কলা, মিষ্টি আলু, কাজুবাদাম ইত্যাদি।
ভিটামিন সি
ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া দেহের অভ্যন্তরীণ টিস্যুর উন্নতি ঘটিয়ে বিভিন্ন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। লেবু ও লেবু জাতীয় সব টক ফল এই ভিটামিনের চমৎকার উৎস। কমলা, মালটা, আঙ্গুর, জাম্বুরা, স্ট্রবেরি, ব্রকলি ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি আছে।
ভিটামিন ডি
ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং মিনারেল সমৃদ্ধ ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সামুদ্রিক মাছ, ডিম, দুধ ইত্যাদি খাবারে। এটি প্রিমেন্সট্রুয়াল সিনড্রোম বা পিএমএস-এর লক্ষণ কমিয়ে দেয়। যাদের দেহে এই ভিটামিনের অভাব আছে তাদের হাঁপানির সমস্যা হতে পারে। সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডি রয়েছে, তাই নিয়মিত সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকলে হাড়ের সমস্যা অস্টিওপরোসিস রোধ হয়।
ভিটামিন ই
ভিটামিন ই বয়স বৃদ্ধি রোধ, হার্ট সুস্থ রাখা, ক্যানসার প্রতিরোধ, ত্বক ও চুল সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বাদাম, কড লিভার অয়েল, পালং শাক, সূর্যমুখী ফুলের বীজে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে।