সুপার সিক্সের লড়াইয়ে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে সহজেই জয় তুলে এনেছে বাংলাদেশের যুবারা। ছোট লক্ষ্য পার করতে খেলেছে ২৫ ওভার। দ্রুতগতির ব্যাটিংয়ে পাওয়া এই জয় বাংলাদেশের রানরেটে এনেছে বড় পরিবর্তন। গতকালকের ম্যাচের আগে তিনে থাকা বাংলাদেশের নেট রানরেট -০.৬৬৭। ম্যাচের পর নেট রানরেট হয়েছে ০.৩৪৮।
বাংলাদেশের পরের ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষে। ৩ ফেব্রুয়ারির সেই ম্যাচে জুনিয়র টাইগারদের মূল দুশ্চিন্তা থাকবে এই রানরেট কেন্দ্র করে। এই মুহূর্তের বিবেচনায় পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে থাকা পাকিস্তানের নেট রানরেট ১.০৬৪। বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পেলেই কেবল হচ্ছে না, বরং খেয়াল রাখতে হবে রানরেটের দিকেও।
বাংলাদেশকে এমন এক ব্যবধানে জয় পেতে হবে, যাতে পাকিস্তানের রানরেট নেমে আসে বাংলাদেশের নিচে। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ২৫০ বা তার কম রান করলে জয়ের ব্যবধান কমপক্ষে হতে হবে ৫০ রান। যেমন বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ২৫০ রান করলে পাকিস্তানকে ২০০ রানের আগে অলআউট বা আটকে রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে ০.০০১ বেশি থাকবে বাংলাদেশের রানরেট।
তবে বাংলাদেশের ২৫০ পার হয়ে গেলে ব্যবধান রাখতে হবে কমপক্ষে ৫১ রান। অর্থাৎ বাংলাদেশ ২৭০ রান করলে পাকিস্তানকে ২১৯ রানের ভেতর অলআউট করতে হবে। অথবা ৩০০ করলে পাকিস্তানকে আটকে রাখতে হবে ২৪৯ রানের মাঝে।
অন্যদিকে পাকিস্তান আগে ব্যাট করলে বাংলাদেশকে ৩৮ থেকে ৪০ ওভারের মাঝে ম্যাচ শেষ করতে হবে। ৩০০ রান টার্গেট থাকলে ৩৯.৩ ওভার পর্যন্ত খেলার সুযোগ পাবে টাইগাররা। ২৫০ রান করলে ৩৯ ওভার এবং ২০০ রানের ক্ষেত্রে ৩৮.৪ ওভার সময় পাবে বাংলাদেশ। যার অর্থ, পাকিস্তান আগে ব্যাট করলেই অপেক্ষাকৃত কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে যুবা টাইগারদের।
যদিও এই জটিল সমীকরণ মেলানো সম্ভব কেবল মাঠের খেলা শুরু হলে। মূল খেলার পরিস্থিতিই বলে দেবে জয়ের সমীকরণ। তবে আপাতত গাণিতিক হিসেব বলছে বাংলাদেশের জন্য কাজটা খুব একটা সহজ হচ্ছে না।
বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের এই গ্রুপ থেকে নিউজিল্যান্ডের বিদায় নিশ্চিত হয়েছে আগেই। তাদের পয়েন্ট মোটে ২। অন্যদিকে ভারত এরইমাঝে চলে গিয়েছে ফাইনালে। আপাতত তাই বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ম্যাচই কোয়ার্টার ফাইনালের মর্যাদা পাচ্ছে।