পাকিস্তানি টিকটক তারকা মিনাহিল মালিক আবারও আলোচনার কেন্দ্রে। সম্প্রতি তার একটি অশ্লীল ভিডিও অনলাইনে ফাঁস হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে শুরু হয়েছে ব্যাপক ট্রলিং ও সাইবার বুলিং। ফাঁস হওয়া ভিডিওতে মিনাহিল মালিককে একটি ঘরে এক ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করছেন নেটিজেনরা। এ ছাড়া তার আরও কিছু আপত্তিকর ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে।
অনেক নেটিজেন এ ঘটনার জন্য মিনাহিলকে তীব্র সমালোচনা করেন। তাকে নিয়ে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করতে শুরু করেন। কেউ কেউ বলছেন— এটি একটি পাবলিসিটি স্টান্ট। আবার অন্যদিকে কিছু মানুষ তার প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং তাকে সমর্থন জানান।
ভিডিওটি ফাঁস হওয়ার একদিন পর মিনাহিল মালিক টিকটকে একটি ভিডিও স্টেটমেন্ট দেন। সেখানে তিনি দাবি করেন— ভিডিওটি সম্পূর্ণ ভুয়া এবং এটি তাকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তিনি ইতোমধ্যে পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
মিনাহিল বলেন, এ ভিডিওগুলো সম্পূর্ণ ভুয়া। আমি এর বিরুদ্ধে এফআইএতে অভিযোগ দায়ের করেছি এবং দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ মুহূর্তে আমার পরিবার এবং আমি গভীর মানসিক চাপে আছি।
ভক্তদের তিনি বলেন, এই ভিডিওটি রিপোর্ট করুন এবং এই কঠিন সময়ে আমার পাশে থাকুন। যারা এমন কাজ করেছে, তাদের নিশ্চয়ই মা-বোন নেই। আমি সাক্ষী— আমার আল্লাহ সাক্ষী। শুধু আপনাদের সমর্থন চাই।
এর আগেও একই রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন মিনাহিল মালিক। কয়েক বছর আগে তার কিছু ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ফাঁস হয়েছিল। তবে তখনো তার বিপুলসংখ্যক ভক্ত তার পাশে দাঁড়িয়েছিল এবং তাকে সমর্থন করেছিল। বর্তমান ঘটনাতেও তার ভক্তদের কাছ থেকে সমর্থন কামনা করেন মিনাহিল।
উল্লেখ্য, মিনাহিল মালিক পাকিস্তানের অন্যতম জনপ্রিয় টিকটক তারকা। তার ভক্ত সংখ্যা মিলিয়ন পেরিয়েছে এবং টিকটকে তিনি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করেন। তার জনপ্রিয়তার জন্যই সম্ভবত তিনি বারবার সাইবার হেনস্তার শিকার হচ্ছেন বলে মনে করছেন অনেকেই।
পাকিস্তানের সাইবার ক্রাইম আইন অনুযায়ী, এই ধরনের ভিডিও বা ছবি ছড়ানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এফআইএ এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তকে দীর্ঘমেয়াাদি শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়।
মিনাহিলের এ ঘটনার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন সাইবার নিরাপত্তার অভাব নিয়ে। সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া এবং সেলিব্রিটিদের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য আরও কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছেন অনেকেই। বিশেষ করে নারীদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন সবাই।