বারান্দা বা ছাদবাগানের জন্য বাজারের কীটনাশক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক কীটনাশক ব্যবহার করুন। এগুলো প্রকৃতিবান্ধব এবং ঘরেই তৈরি করা সম্ভব।
ডিটারজেন্ট ও পানির মিশ্রণ
পানির সঙ্গে ডিটারজেন্ট ভালোমতো মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে নিন। তারপর গাছে ছিটিয়ে দিন। গাছে অনেক সময় ছোট ছোট সাদা পোকা আসে। সেগুলো দূর করবে এই কীটনাশক।
রসুনের পানি
একটা গোটা রসুন বেটে বা ব্লেন্ড করে এক ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর ছেঁকে রস বের করে তার সঙ্গে ১ টেবিল চামচ তরল সাবান মিশিয়ে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। একটু পানি মেশান। আক্রান্ত পাতার দুই পাশেই স্প্রে করুন এই কীটনাশক।
আদা ও মরিচবাটা মেশানো পানি
একটি স্প্রে বোতলে পানির সঙ্গে আদার রস ও মরিচবাটা মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ গাছে স্প্রে করুন। এই স্প্রে আপনার গাছকে বিভিন্ন পোকামাকড়ের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে।
কীটনাশক ও জৈব সার তৈরির প্রণালি
কীটনাশক বানানোর জন্য আড়াই ফুট লম্বা প্লাস্টিকের ড্রাম নিতে হবে। ভেতরে ৪০-৫০টি মেহগনির ফল টুকরো টুকরো করে মাড়াই করে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। দেড় কেজি নিম ফল, দুই কেজি নিমপাতা, আধা কেজি নিমের ছাল ড্রামের ভেতরে দিতে হবে। আতাগাছের পাতা, মূল এবং ছাল, বিষকাঁটালিগাছ, ধুতরার পাতা, নিম ফল, গাঁদা ফুলের পাতা, দূর্বা, গরুর মূত্র, লাল বিশালিগাছ পিষে ওই ড্রামে দিতে হবে। মিশ্রণটি ১৫ থেকে ২০ দিন পচতে দিতে হবে। ড্রামের মুখ পলিথিন দিয়ে বেঁধে দিতে হবে। এমনভাবে বাঁধতে হবে যেন পাত্রটি বায়ুশূন্য হয়। তারপর পচে যাওয়া উপাদান থেকে রস বা নির্যাস বের করে নিতে হবে। সুতি কাপড় দিয়ে আরও কয়েকবার ছেঁকে নিলেই এটি ফসলের ওপর স্প্রে করার উপযোগী হবে। একটি ড্রাম থেকে ৩৫ লিটারের মতো কীটনাশক পাওয়া যায়। ১ বিঘা জমিতে আড়াই লিটার কীটনাশক ছিটালেই চলে।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/smartphone-gaming/
জৈব সার তৈরির প্রণালিটি সহজ। গোবর ও ফসলের ফেলে দেওয়া অংশ যেমন বাঁধাকপির পাতা, ফুলকপির ডাঁটার অংশ, রাস্তার পাশে জন্মানো লতাজাতীয় গাছ ও ফসলের বর্জ্য, কলাগাছের পাতা একসঙ্গে ৮ হাত দৈর্ঘ্য, ৬ হাত প্রস্থ ও ৪ ফুট গভীর একটি গর্তে ১০-১২ দিন পচাতে হবে। গর্তটি বায়ুশূন্য হওয়ার জন্য পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এরপর গর্ত থেকে মিশ্রিত উপাদান তুলে ৪-৫ দিন রোদে শুকাতে হবে। পরে দলাগুলো ভেঙে নেট দিয়ে ছেঁকে জমিতে ব্যবহার করতে হবে। ওই পরিমাণ গর্ত থেকে ৪ থেকে সাড়ে ৪ মণ জৈব সার পাওয়া যায়। ১ বিঘা জমিতে ২১ কেজির মতো জৈব সার হলেই চলে।