বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আত্মার সম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক যোগসূত্র রয়েছে এবং শিল্প, সঙ্গীত, ক্রিকেট এবং খাবারের ক্ষেত্রে দুই দেশের অভিন্ন সম্পর্ক রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশের ১০০ সদস্যের একটি যুব প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতি ভবনে তার সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, রবি ঠাকুরের লেখা দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতই গর্বের উৎস। বাউল সঙ্গীত এবং কাজী নজরুল ইসলামের রচনার প্রতি আমাদের ভালবাসা অভিন্ন। আমাদের অভিন্ন ঐতিহ্যে আমাদের ঐক্য ও বৈচিত্র্য উদযাপিত হয়।
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে তার বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় এবং তার পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধন রয়েছে, যা দুই দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ত্যাগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বন্ধু এবং অংশীদার হতে পেরে গর্বিত এবং প্রতিবেশীর সঙ্গে উন্নয়ন অভিযাত্রায় অংশীদার হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ একটি বৃহৎ ও উদ্যমী যুব জনসংখ্যার আবাসস্থল, যাদের বিশ্বকে একটি নতুন রূপ দেওয়ার সীমাহীন সম্ভাবনা রয়েছে। সবাইকে এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। আগামী দিনের নেতা হিসেবে সবুজ, টেকসই ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তোলা তরুণদের দায়িত্ব।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের বিষয়ে দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, এই প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সারা বাংলাদেশ থেকে বাছাই করা হয়েছে। এখানে তাদের উপস্থিতি শুধু সফর নয়; এটি দুই দেশের মধ্যে একটি সেতু বন্ধন গড়ে তুলবে। এটি সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের স্থায়ী চেতনার প্রমাণ যা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে তুলে ধরছে।
তিনি বাংলাদেশের যুব প্রতিনিধি দলের সদস্যদের ভারতের বিভিন্ন দিক এবং এর বৈচিত্র্য এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিল্পকলার ক্ষেত্রে উন্নয়নের অভিজ্ঞতার সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।
দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, যেহেতু তারা সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে, সেহেতু ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি ও বন্ধুত্বের বন্ধনকে শক্তিশালী করার জন্যও তাদের সচেষ্ট হওয়া উচিত।