অনেকেই টদাম বেশির জন্য ল্যাপটপ কিনতে পারে না। কিন্তু বাজেট ৫০ হাজার হলেই কিনতে পারেন ল্যাপটপ। মাঝামাঝি মূল্যের এই ল্যাপটপগুলো ব্যবহার করা যাবে লেখালেখি বা গ্রাফিক ডিজাইনিংয়ের কাজে। মূলত খুব বেশি র্যাম বা গ্রাফিকস সুবিধা প্রয়োজন নেই এমন সব কাজই অনায়াসে করা যাবে এসব ল্যাপটপে।
তবে মাঝারি মূল্যের মধ্যে সঠিক ল্যাপটপ খুঁজে পাওয়া ঝক্কির কাজ হতে পারে। তাই আজকের এ লেখায় ৫০ হাজার টাকার বাজেটে সুলভ এমন ৫টি ল্যাপটপের কথা জানাব।
আসুস ভিভোবুক ১৫ এক্স৫১৫এফএ – কোর আই৩, দশম প্রজন্ম, ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি
এতে রয়েছে ৪ দশমিক ১০ গিগাহার্টজের দারুণ গতি। এই ডিভাইসে সাধারণ ফ্ল্যাট-ডাউনের চেয়ে সামান্য কাত হওয়া কিবোর্ড রয়েছে। যার কারণে টাইপ করতে সাধারণ ফ্ল্যাট ডাউন কী-বোর্ডের চেয়ে সুবিধা হয়। সিনেমা দেখার জন্য এর ১৫ দমিমিক ৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি ১৯২০x১০৮০ রেজল্যুশনের স্ক্রিন অত্যন্ত উপভোগ্য। এই মূল্যের ল্যাপটপগুলোর মতো এতেও আছে ৪ গিগাবাইট র্যাম, যা কি না যেকোনো হালকা ধাঁচের কাজের জন্য উপযোগী।
এ ছাড়া এতে আছে এক টেরাবাইট এইচডিডি। এই ল্যাপটপটির মূল্য পড়বে ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা।
ডেল ইনস্পাইরন ১৫ ৩৫০১ – কোর আই৩, একাদশ প্রজন্ম, ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি
এই ল্যাপটপটি দেখতে বেশ মসৃণ, ছিমছাম আর পেশাদারি। ইনটেল কোর আই৩-১১১৫জি৪ প্রসেসরের কারণে এতে মৌলিক গ্রাফিকসের কাজ খুব সহজেই করা যায়। প্রসেসিং ক্ষমতা ৪ দশমিক ১০ গিগাহার্টজের বেশি থাকায় এই ল্যাপটপে ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার সহজ হয়। এ ছাড়া এতে আছে জি (Xe) গ্রাফিকস, যা কিনা মর্টাল কমব্যাট ৯ এবং ফিফা ১৯-এর মতো পুরনো গেমগুলো খেলার জন্য ভালো মানের গ্রাফিকস কার্ড। দাম ও মান, সব মিলিয়ে মধ্যম পর্যায়ের এই ল্যাপটপে রয়েছে মানানসই ৪ জিবি র্যাম। এর ১৫ দশমিক ৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি ১৯২০x১০৮০ রেজল্যুশনের স্ক্রিনের সঙ্গে অ্যান্টি-গ্লেয়ার প্রযুক্তি থাকায় পর্দার দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে চোখের ওপর কম জোর পড়ে। ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের এই ল্যাপটপটি কেনা যাবে স্টার টেক থেকে।
এইচপি এলিটবুক এক্স৩৬০ ১০৩০ – কোর আই৫, অষ্টম প্রজন্ম, ১৩.৩ ইঞ্চি ফুল এইচডি
যদিও অনেকের জন্য ইন্টেল কোর আই৫-৮২৫০ইউ, অষ্টম প্রজন্মের প্রসেসরযুক্ত ল্যাপটপ প্রথম পছন্দ নয়, তবুও কোর আই৫ প্রসেসরের সঙ্গে সাড়ে ৩ গিগাহার্টজ গতি কিন্তু মাঝামাঝি দামের মধ্যে বেশ ভালো পণ্য। এইচপি এলিটবুক ১০৩০-এর সঙ্গে রয়েছে ক্ষুদ্র ও গতিশীল ৫১২ গিগাবাইটের এসএসডি ও ১৩ দশমিক ৩ ইঞ্চির ফুল এইচডি স্ক্রিন। এই স্ক্রিন আবার ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘোরানো যায় এবং ছবি আঁকার জন্যও এটি সুবিধাজনক কেন না পুরোটাই টাচ স্ক্রিন। গ্রাফিকসের কাজের জন্য এই স্ক্রিন অত্যন্ত মানানসই। এ ছাড়া অষ্টম প্রজন্মের ল্যাপটপ হওয়া সত্ত্বেও এতে ৮ গিগাবাইট র্যাম রয়েছে।
লেনোভো আইডিয়াপ্যাড স্লিম ৩আই – কোর আই৩, দশম প্রজন্ম, ১৫.৬ ইঞ্চি
দেখতে চমৎকার আর ছিমছাম এই ল্যাপটপটির রয়েছে ৩ দশমিক ৪০ গিগাহার্টজ গতির ইন্টেল কোর আই৩-১০০৫জি১ প্রসেসর। লেখালেখি, প্রেজেন্টেশন তৈরি বা এক্সেল শিটের মতো কাজ করার জন্য এর ৪ জিবি র্যাম যথেষ্ট। এ ছাড়া এর ১ টেরাবাইট এইচডিডির কারণে সিনেমা বা গান মজুদ করে রাখার মতো জায়গা পাওয়া সম্ভব। অন্যদিকে সিনেমা দেখার জন্য এই ল্যাপটপের ১৫ দশমিক ৬ ইঞ্চি, ১৯২০x১০৮০ রেজল্যুশনের স্ক্রিন বেশ মানানসই। ৪৫ হাজার থেকে ৪৬ হাজার টাকার মধ্যে এই ল্যাপটপ পাওয়া যায়।
প্রাপ্তিস্থান: টেকল্যান্ড বিডি
এসার ট্রাভেলমেট টিএমপি২১৪-৫৩ – কোর আই৩, একাদশ প্রজন্ম, ১৪ ইঞ্চি ফুল এইচডি
নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এসার ট্রাভলমেট ভ্রমণবান্ধব একটি ল্যাপটপ। কাজ বা ঘোরাঘুরির সময় সঙ্গী হিসেবে এটি সবসময়ই ব্যবহারকারী কাছে রাখতে পারেন। এতে আছে ৪ দশমিক ১০ গিগাহার্টজ পর্যন্ত গতির ইন্টেল কোর আই৩-১১১৫জি৪ প্রসেসর। এ ছাড়া ৪ গিগাবাইট র্যাম আর ১ টেরাবাইট এইচডিডি থাকায় স্টোরেজ নিয়েও তেমন একটা চিন্তা করতে হবে না। আর যেহেতু একাদশ প্রজন্মের ল্যাপটপ, তাই যুগোপযোগী ইউএসবি টাইপ-সি চার্জিং পোর্টও আছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত গোপনীয়তার জন্য এতে আছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট আনলকিং ব্যবস্থা। এর ১৪ ইঞ্চি ফুল এইচডি স্ক্রিন খুব একটা ছোটও নয়, আবার সামাল না দিতে পারার মতো বড়ও নয়। সহজে বহন করা যায়। ভ্রমণের সময় সিনেমা দেখার জন্য অত্যন্ত মানানসই এই ল্যাপটপ। সবশেষে এর রয়েছে অতিরিক্ত র্যাম স্লট, যা কিনা ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা সম্ভব। ৫০ হাজার টাকা মূল্যের এই ল্যাপটপ কেনা যাবে পিসি হাউজ থেকে।