বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালতের নিরাপত্তার জন্য অনেকেই সিসিটিভি ক্যামেরা ইনস্টল করেন। যাতে করে দূরে থেকেও অবকাঠামোর ওপর নজর রাখা যায়। আবার বাড়িতে একা থাকলেও নিরাপত্তার দিকে নজর রাখা জরুরি।
চোর-ছ্যাঁচড়ের উপদ্রব তো আছেই। বাড়িতে বয়স্ক কেউ থাকলে, তার নিরাপত্তার দিকটাও মাথায় রাখতে হয়। অনেকেই তাই সিসিটিভি লাগান।
আগে শুধু দোকান বা শপিং মলের মতো পাবলিক এলাকাতেই সিসিটিভি লাগানো হত। কিন্তু ইদানীং নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বাড়িতেও অনেকে সিসিটিভি লাগাচ্ছেন।
এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে কী ধরনের সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো উচিত, সেটা জানা জরুরি। নাহলে পুরো টাকাটাই জলে যাবে। দেখে নেওয়া যাক, বাড়িতে সিসিটিভি লাগানোর আগে কী কী জিনিস মাথায় রাখতে হবে।
ক্যামেরার রেঞ্জ
বাড়িতে সিসিটিভি বসালে মাথায় রাখতে হবে ক্যামেরার রেঞ্জ যেন কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ মিটার হয়। রেঞ্জ যত বেশি হবে তত ভাল। কারণ রেঞ্জ বেশি হলে দূরের জিনিসও সহজে ক্যাপচার করা যায়। রেঞ্জ ইমেজ সেন্সরের আকারের পাশাপাশি লেন্সের ফোকাল দৈর্ঘ্যের উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে।
ভিডিওর গুণমান
সেরা সিসিটিভি ক্যামেরায় 720p এবং 1080p রেজুলেশনের ভিডিও ক্যাপচার করা যায়। রেজুলেশন যত বেশি, ভিডিওর কোয়ালিটি তত ভালো। ভিডিওর কোয়ালিটি খারাপ হলে বিষয়বস্তুর কিছু বোঝা যাবে না। এই ধরনের সিসিটিভি লাগানোটাই অর্থহীন। তাই ক্যামেরার গুণমান পরীক্ষা করাটা গুরুত্বপূর্ণ। যাতে ক্যামেরা কিনে অর্থের অপচয় না হয়।
এসডি কার্ড স্লট
সিসিটিভি ক্যামেরায় সাধারণত ইন্টারনাল এসডি কার্ডের স্লট থাকে। রেকর্ডিংয়ের জন্য ইউজার ৩২ জিবি, ৬৪ জিবি বা ১২৮ জিবি এসডি কার্ড লাগাতে পারেন। কিন্তু সস্তার সিসিটিভি ক্যামেরায় ইন্টারনাল স্টোরেজ বলে কিছু থাকে না। এসডি কার্ডের স্লট থাকে এমন ক্যামেরাই কেনা উচিত।
মোশন সেন্সর
একটু বেশি টাকা খরচ করে মোশন সেন্সর দেওয়া সিসিটিভি ক্যামেরা কিনতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। দাম একটু বেশি হলেও এই সেন্সর যে কোনও অপ্রয়োজনীয় শব্দ বা নড়াচড়া সনাক্ত করতে পারে এবং অ্যাপের মাধ্যমে ইউজারকে সতর্ক করে।