গত আসরগুলোর মতো এবারও পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। কেননা, বিপিএল চলকালেই মাঠে গড়িয়েছে আরও দুটি ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। এতে মানসম্পন্ন বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়া নিয়ে আগেই শঙ্কা দেখে দিয়েছিল। আন্তর্জাতিক মান আর অর্থের ঝনঝানিতে এসএ টি-২০ আর আইএল টি-২০ লিগে পাড়ি জমিয়েছেন তারকা ক্রিকেটাররা।
এদিকে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে মাঠে গড়াচ্ছে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। তাই স্বাভাবিকভাবেই দেশে ফিরবেন বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ নওয়াজ, ফাহিম আশরাফ ও আমির জামালসহ বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছাড়পত্র তাদের। তবে কেউ কেউ ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকতে পারবেন। অনেকেই আবারও ছাড়পত্রের মেয়াদ বাড়াতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।
দ্য গ্রিন ম্যান শিবিরের ক্রিকেটাররা দেশে ফিরলে চাপে পড়তে পারে রংপুর রাইডার্স, ফরচুন বরিশাল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, খুলনা টাইগার্স। যদিও গুঞ্জন উঠেছে, এরই মধ্যে বিদেশি ক্রিকেটারের খোঁজে উঠেপড়ে লেগেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এসএ টি২০-এর লিগ পর্ব থেকে বাদ পড়া দলের ক্রিকেটারদের পেতে চেষ্টা করছেন তারা।
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ থাকায় ফিরছেন আজমতউল্লাহ উমরজাই ও মোহাম্মদ নবিরাও। তাদের শূন্যস্থান পূরণে আসছেন নিকোলাস পুরান, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, ইমরান তাহিররা। এ ছাড়া আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি রংপুর শিবিরে যোগ দেওয়ার কথা আছে ভ্যান্ডার ডুসেনের।
৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়ার কথা আছে বরিশালের মোহাম্মদ ইমরান, আব্বাস আফ্রিদিরও। আর আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ফিরে যাবেন শোয়েব মালিকও। তবে শেষ পর্যন্ত খেলবেন আহমেদ শেহজাদ ও আকিফ জাভেদ।
সিলেট পর্ব শেষে জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন গুলবাদিন নায়েব। ১০ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরতে পারেন উসমান কাদির ও সিয়াম আইয়ুব।
শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে মোদির ভুয়া চিঠি প্রকাশ: বিপাকে ইউটিউবার
এ ছাড়া খুলনার মোহাম্মদ ওয়াসিম, ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ আগামী ৯ ফেব্রুয়ারির পর লাহোরে ফিরতে পারেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে উইন্ডিজের ওয়ানডে সিরিজ শেষে শাই হোপ এবং ওশানে থমাসকে পাওয়া যেতে পারে।