চলতি মাসের শুরুতেই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দরে বড় উত্থান ঘটেছে। ইতোমধ্যে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দাম গত ২ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, সদ্য সমাপ্ত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে। ফলে আগামী জুনে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান কমেছে। সঙ্গত কারণে বুলিয়ন বাজারের উজ্জ্বলতা বেড়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে শুধু শুক্রবারই (১ মার্চ) স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ২ দশমিক ১ শতাংশ। প্রতি আউন্সের দর স্থির হয়েছে ২০৮৬ ডলার ২১ সেন্টে। গত ডিসেম্বরের পর যা সবচেয়ে বেশি।
আগের দিন (বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি) আউন্সপ্রতি স্বর্ণের দাম নিষ্পত্তি হয়েছিল ২০৪৬ ডলার ২৯ সেন্টে। অর্থাৎ ১ দিনের ব্যবধানে আউন্সে দর ঊর্ধ্বগামী হয়েছে প্রায় ৪০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪ হাজার ৫০০ টাকা। এ নিয়ে টানা ২ সপ্তাহ বেঞ্চমার্কটির দর বাড়লো।
এরই মধ্যে ইউএস বেঞ্চমার্ক ১০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি ইল্ড নিম্নমুখী হয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের কাছে স্বর্ণের আবেদন আরও বেড়েছে। গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতির বার্ষিক বৃদ্ধি ছিল প্রায় ৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। তাতে আসন্ন জুনে ফেডের সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশা বেড়েছে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরা পর্তুগাল, যে কারণে অবশ্যই যাওয়া উচিত
বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান টিডি সিকিউরিটিজের পণ্য কৌশলের প্রধান বার্ট মেলেক বলেন, বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কারণ, চলমান বছরের মাঝামাঝিতে সুদের হার কমাতে পারে ফেড। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ডলার সূচক এবং ট্রেজারি বন্ড ইল্ড নিম্নগামী হয়েছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে স্বর্ণের সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছতে পারে।