সঠিক খাবার আর নিয়ম মেনে এক্সারসাইজ ফিট থাকার অন্যতম শর্ত, এটা সবার জানা। তা শর্তেও অনেকে আপত্তি জানান বাধাধরা এমন জীবনের। কারণ ফিট থাকতে চান, কিন্তু নিয়ম মানতে চান না। কিন্তু বিশ্বাস করুন, নিয়ম মানা খুব কঠিন নয়। সবটাই অভ্যেস। যদি সঠিক ডায়েট আর এক্সারসাইজে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন, তবে আপনার জন্য ভাল দিন অপেক্ষা করছে। খাওয়া-দাওয়া বা ব্যায়াম ছাড়াও কিছু নিয়ম আপনাকে ফিট রাখতে সাহায্য করবে।
✪ সপ্তাহে একদিন নিজের জন্য রান্না করুন। যদি রান্না না জানেন, শিখে নিন। প্রয়োজনে ভাত-ডালের মতো সহজ রেসিপি করুন। অনেকের রান্নার জন্য আলাদা লোক থাকে। কিন্তু নিজে রান্না করার মজাই আলাদা। শুধু তাই নয়, নিজের জন্য রান্না করার মধ্যে সেল্ফ লাভের কনসেপ্ট লুকিয়ে আছে। শুধু পরিবারের জন্য নয়, একদিন নিজের পছন্দের রান্না করুন। নিজেকে ভালবাসলে তবেই শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়ার ইচ্ছে তৈরি হবে। এটাই হবে আপনার ফিট থাকার প্রথম পদক্ষেপ।
✪ দ্য টাং নিডস টু নো ইউ আর দ্য বস। এই জিভকে আটকানো খুবই কঠিন একটি কাজ। যা খুবই সহজে করতে পারেন। শুধুমাত্র কথা না বলে। কী অবাক হচ্ছেন! ভাবছেন কথা বলার সঙ্গে ফিট থাকার সম্পর্ক কী? হ্যা আছে। কথা বলা আর খাওয়ার প্রধান অঙ্গই জিভ। তাই দিনে কয়েক ঘণ্টা যদি চুপ করে থাকেন, তা হলে দেখবেন খাওয়ার উপরও নিয়ন্ত্রণ এসেছে। হাস্যকর লাগলেও ব্যাপারটা অনেকটা সায়কোলজিক্যাল।
✪ মাসে অন্তত একদিন লবণ ছাড়া খাবার খান। খেতে বসলে পাতে আলাদা করে কোন লবণ দিবেন না। অতিরিক্ত লবণ শরীরের জন্য খারাপ। একদিন নো সল্ট ডায়েট মেনে চললে আস্তে আস্তে বাড়তি লবণ খাওয়ার ইচ্ছা চলে যাবে।
✪ নিয়ম করে সকালে নাস্তা করুন। অনেকে অফিসের তাড়াহুড়োয় ব্রেকফাস্ট খেতে ভুলে যান। এতে শরীরের বেশ ক্ষতি হয়। দরকার হয় নিয়মিত ঘুম থেকে ওঠার অন্তত ৩০ মিনিট আগে অ্যালার্ম সেট করুন। কম ঘুমতে বলছি না। আধঘণ্টা আগে উঠবেন, তেমনই আগেই শুতে যান। তা হলে পর্যাপ্ত ঘুম হবে আবার উঠতেও পারছেন তাড়াতাড়ি।
✪ টেবিলে নয়, ফ্লোরে বসে খান। এতে শরীরের অনেক বেশি উপকার হয়। নিচে বসেতে যদি অসুবিধা হয়, তবে চেয়ারেই বাবু হয়ে বসুন। এতে তাড়াতাড়ি হজম হয় খাবার।
✪ ভাল হয় বাথরুম করার সময় স্কোয়াট করতে পারলে। কিন্তু আজকাল কারও বাড়িতে নিচু টয়লেট নেই। সবই এখন ওয়েস্টার্ন টয়লেট সিট। কি আর করা, টয়লেটে বসার সময় সামনের দিকে খানিকটা ঝুঁকে পা দু’টো যতটা সম্ভব ছড়িয়ে রাখুন। এভাবে পেট ভাল পরিষ্কার হবে। ভাল কাজ করবে আপনার ডাইজেস্টিভ সিস্টেম।
✪ প্রতি বছর নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন। এর প্রভাব শরীরেও পড়বে। তাই বছরের শুরুতেই একটা রেজলিউশন বানিয়ে নিন। নতুন কিছুর মধ্যে হতে পারে, গাড়ি চালানো, সাঁতার কাটা বা নতুন ভাষা শেখা। মনে রাখবেন হেলদি মাইন্ড লিডস টু আ হেলদি বডি।