মন থাকলে মন খারাপও থাকবে। আর এ এমনই এক অসুখ যা বলেকয়ে আসে না কখনোই। হঠাৎ কোনো কারণে আপনার মন খারাপ হতেই পারে। আমাদের হরমোন বা নিউরোট্রান্সমিটারগুলো ভারসাম্যপূর্ণ হলে মন ভালো রাখা সহজ হয়। কারণ অক্সিটোসিন, ডোপামিন, সেরোটোনিন এবং এন্ডোরফিন হরমোন আমাদের শান্তি ও সুখের অনুভূতি দেয়।
ন্যাচারোপ্যাথিক ডাক্তার কারিনা ডানলাপ তার ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে কীভাবে আমরা প্রাকৃতিকভাবে এই সুখের হরমোনগুলোকে বজায় রাখতে পারি সে সম্পর্কে কয়েকটি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। আমাদের মন খারাপের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই আমরা পিছিয়ে পড়ি। তাই মন ভালো রাখার এই টিপসগুলো আপনারও জানা থাকা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
কাজের তালিকা করুন
আপনার প্রতিদিনের কাজগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে নিন। সম্ভব হলে আগের রাতেই তালিকা তৈরি করে রাখুন। এতে দিনের নির্দিষ্ট কাজগুলো সঠিক সময়ে শেষ করা অনেকটা সহজ হবে। ফলে আপনি বাড়তি চাপ অনুভব করবেন না। এর পাশাপাশি আপনার ভালোলাগে এমন কিছু কাজও তালিকায় যুক্ত করুন। হতে পারে তা ছবি আঁকা, লেখালেখি, বই পড়া কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে নিছকই আড্ডা। এসব কাজ কিন্তু আপনার মন ভালো রাখতে দারুণভাবে সাহায্য করবে।
নিজের যত্ন নিন
আপনি মানুন বা না মানুন, সবার আগে নিজের যত্ন নেওয়াটাই কিন্তু জরুরি। কারণ নিজের প্রতি যত্নশীল মানুষই অন্যের প্রতিও সহানুভূতিশীল হয়। তাই নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা করুন। মাঝে মাঝে নিজেকে ছোটখাট উপহার দিন। দিনশেষে যখন নিজেকে কিছুটা সময় দেবেন তখন এমনিতেই ভালোলাগার অনুভূতি কাজ করবে। তাই নিজের প্রতি উদাসীন না থেকে এবার থেকে খেয়াল রাখতে শিখুন।
ভালো ঘুম প্রয়োজন
ঘুমকে অনেকেই অবহেলা করেন। কিন্তু অন্যান্য কাজের মতো ঘুমও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পর্যাপ্ত ঘুম হলে তবেই আপনি পরদিন কাজ করার শক্তি পাবেন। নয়তো মেজাজ হবে খিটখিটে আর কাজেও মন বসবে না। তাই মন-মেজাজ ভালো রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের দিকে নজর দিতে হবে। ঘুম ভালো হলে আপনি সহজেই সতেজ বোধ করবেন।
আনন্দ উদযাপন করুন
ছোটখাট আনন্দ উদযাপন করতে শিখুন। ছোট ছোট অর্জনে সুখি হতে শিখুন। এতে আপনারই মন ভালো থাকবেন। যারা অল্পে সন্তুষ্ট, তাদের দুয়ারে কখনো অভাব আসে না। তাই অল্পতেই খুশি হতে শিখুন। এতে আপনার মনই ভালো থাকবে। আনন্দগুলো প্রিয়জনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করুন। এতে ভালোবাসা বাড়বে, ভালো থাকবে আপনার মনও।