মালদ্বীপে ঘুরতে যাওয়া মানে বাস্তব জীবনে স্বর্গে পা রাখার মতো। এখানে আপনি গ্রীষ্মমন্ডলীয় দ্বীপপুঞ্জ এবং অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাদা বালুকাময় সৈকত দেখতে পারবেন। মালদ্বীপে এক হাজারেরও বেশি প্রবাল দ্বীপের দেখা মিলবে। এখানে প্রধান আকর্ষণগুলো হলো বিশ্বমানের ডাইভিং এবং স্নরকেলিং সাইট। পানির নিচের পৃথিবী আবিষ্কার করতে ডাইভিং করতে পারবেন। এতে রঙিন প্রবাল প্রাচীর এবং বহিরাগত মাছের প্রজাতি দেখা মিলবে।
মালদ্বীপে নির্জন ব্যক্তিগত দ্বীপ রিসোর্টের সুবিধা পাওয়া যাবে। সেই দ্বীপগুলো বিলাসবহুল এবং নানা সুবিধায় সমৃদ্ধ। পানিময় ভিলায় ঘুম থেকে ওঠা, আকাশি নীল জলে ঘেরা এবং প্যানোরামিক সমুদ্রের দৃশ্যসহ স্পাও উপভোগ করতে পারবেন। কম খরচে ঘুরে দেখার জন্যে মালদ্বীপ অতুলনীয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক মালদ্বীপের আকর্ষণীয় ৫টি জায়গা সম্পর্কে-
১. মালে সিটি
মালদ্বীপের প্রাণবন্ত রাজধানী মালে সিটি তার মন্ত্রমুগ্ধ আকর্ষণের জন্য পরিচিত। এই জমজমাট মেট্রোপলিস পর্যটকদের মূল আকর্ষণ । শহরটি সবসময় কোলাহলপূর্ণ থাকে এবং মানবজীবনের সঙ্গে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক টেপেস্ট্রিকে সংযুক্ত করে। গগনচুম্বী আধুনিক ভবন, ঐতিহাসিক মসজিদ এবং রঙিন বাজার এই শহরের মূল কেন্দ্র যা ঐতিহ্য ও অগ্রগতির এক অনন্য মিশ্রণ তৈরি করে। কোলাহলপূর্ণ মাছের বাজার থেকে শুরু করে শান্ত জলপ্রান্তর প্রমোনাড পর্যন্ত সবই পর্যটকরা ঘুরে দেখতে পারবে। প্রাণবন্ত রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর মাধ্যমে অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন।
২. বিয়াধু
বিয়াধু দ্বীপ স্কুবা ডুবুরিদের আশ্রয়স্থল হিসেবে সুপরিচিত। বিয়াধু দ্বীপে উপভোগের জন্য প্রচুর জল-ভিত্তিক ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যটকরা উইন্ডসার্ফিং, সার্ফিং, স্কিইং এর মতো রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে পারেন। অতিথিরা পছন্দের জলজ অ্যাডভেঞ্চার খুঁজে পেতে পারেন।
দ্বীপের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে এর উষ্ণ গ্রীষ্ম মন্ডলীয় গাছপালা রয়েছে, যা সতেজ পরিবেশ তৈরি করে। পর্যটকরা এই সবুজ পরিবেশে ডাবের পানি দিয়ে তাদের তৃষ্ণাও মেটাতে পারেন।
৩. মাফুশি দ্বীপ
মালদ্বীপের ন্যাশনাল মিউজিয়াম তার অনন্য সংরক্ষিত নিদর্শন সংগ্রহের মাধ্যমে পর্যটকদের বিমোহিত করে। ইসলামিক এবং বৌদ্ধ ধর্মের রাজকীয় পুরাকীর্তির একটি বিশাল ভাণ্ডারও প্রদর্শন করা হয় এই স্থানে। যারা ইতিহাস এবং নৈপুণ্য কারুকার্য পছন্দ করে তারা এখানে স্বর্গে খুঁজে পায় যেস। জাদুঘরের চমৎকার পোশাক, অলঙ্কার, সিংহাসন, পালকি, রাজকীয় সানশেড, পাণ্ডুলিপি, অস্ত্র এবং বর্ম অন্বেষণ, সংরক্ষিত ঐতিহ্যের ভাণ্ডার। জাদুঘরটি মালদ্বীপের নাগরিকদের মধ্যে দেশপ্রেমের গভীর অনুভূতি জাগিয়ে তোলে এবং পর্যটকদেরও এটি ঘুরে দেখা উচিত।
৪. কনরাড রিসোর্ট
পর্যটকদের অবশ্যই কনরাড মালদ্বীপ রাঙ্গালি দ্বীপ রিসোর্টে ওঠা উচিত। ভারত মহাসাগরের নীল জলরাশিতে ঘুমাতে এই বিলাসবহুল দুই স্তরের তলদেশের ভিলায় অবস্থান করুন। এই রিসোর্টটে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধার নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। এখানে প্রাইভেট শেফ এবং বাটলার, স্পা ট্রিটমেন্ট, ওয়াটার অ্যাক্টিভিটি, একটি ইনফিনিটি পুল এবং একটি অন-কল ফিটনেসের দেখা মিলবে। কনরাড রিসোর্ট মালদ্বীপের সবচেয়ে বড় আকর্ষেরণ মধ্যে একটি।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%9f%e0%a6%a8-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%be/
৫. গ্র্যান্ড ফ্রাইডে মসজিদ
মালদ্বীপের শীর্ষ ধর্মীয় স্থানগুলো মধ্যে একটি হলো গ্র্যান্ড ফ্রাইডে মসজিদ যা শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক অন্বেষণকারীদেরই নয় বরং পর্যটকদের কাছেও জনপ্রিয়। এটি আধুনিক সাদা-মারবেল কাঠামোর জন্য বিখ্যাত। পর্যটকরা এর সৌন্দর্যে আকর্ষিত হয়। মসজিদটিতে বিশাল সোনার গম্বুজ রয়েছে যা মূল চত্বর জুমহোরি ময়দানে অবস্থিত। সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টার মধ্যে ঘুরে দেখলে সুবিধা হবে। ধর্মীয় স্থানে অবশ্যই উপযুক্ত পূর্ণ দৈর্ঘ্যের পোশাক পরিধান করে যেতে হবে।