প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে করা অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে পুরো ভারতে চলছে ‘বয়কট মালদ্বীপ’ ট্রেন্ড। এরই ধারাবাহিকতায় ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মালদ্বীপে শ্যুটিং বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ (এফডব্লিউআইসিই)।
একটি বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, চলচ্চিত্র নির্মাতাদের ভারতের লাক্ষাদ্বীপের মতো জায়গায় শ্যুটিং করতে এবং ভারতের পর্যটনের বিকাশে অবদান রাখতে বলা হয়েছে।
এফডব্লিউআইসিইয়ের মালদ্বীপকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে মালদ্বীপের মন্ত্রীদের দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং ভুল মন্তব্যের নিন্দা করছে এফডব্লিউআইসিই। জাতি এবং এর বৃহত্তর সংস্কৃতির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে, এফডব্লিউআইসিই মালদ্বীপ এবং এর শ্যুটিং লোকেশন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিবর্তে, এফডব্লিউআইসিই তার সদস্যদের ভারতের কোনো স্থানে শ্যুটিং করতে এবং ভারতের পর্যটনের বিকাশে অবদান রাখার জন্যও আহ্বান জানাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ভারত এবং বিশ্বের সমস্ত প্রযোজককে মালদ্বীপে কোনো ধরনের শ্যুটিং বা প্রযোজনা সংস্থা কোনও কাজের পরিকল্পনা যাতে না করে, সেই পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি তার সফরে লক্ষাদ্বীপে পর্যটনের প্রচার করেছেন।
এফডব্লিউআইসিইয়ের এমন বিবৃতির পর প্রতিবাদে মন্তব্য শুরু করেন এরপর মালদ্বীপের মন্ত্রীরা। পরে বিতর্ক এতটাই বেড়ে যায় যে, মুইজ্জু সরকারের একজন মন্ত্রী মরিয়ম শিউনা আপত্তিকর মন্তব্য করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি লাক্ষাদ্বীপের মতো অন্যান্য ভারতীয় দ্বীপের প্রচারও শুরু করেন। সালমান খান থেকে শুরু করে অক্ষয় কুমার ও শ্রদ্ধা কাপুর পর্যন্ত অনেকেই ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমর্থনে পোস্ট শেয়ার করেছেন।
সম্প্রতি ভারতের লাক্ষাদ্বীপ সফরের কিছু ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন মোদি। যেখানে ভারতীয়দের মালদ্বীপের বদলে সেই দ্বীপে ভ্রমণেরও আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। সেই দ্বীপটি মালদ্বীপ থেকে খুব দূরে নয়। এর বিপরীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মোদির বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করেন মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী ও কয়েকজন নেতা।
কিছু ছবিতে তাকে জোকার বা ভাড় বলে মন্তব্য করা হয়। ভারত-ইসরায়েল সম্পর্ক টেনে এনেও তাকে বিরূপ মন্তব্য করা হয়। পরে অবশ্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে মালদ্বীপের মন্ত্রী-রাজনীতিকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সেসব মন্তব্য মুছে দেন। কিন্তু তাতে সমালোচনার জোয়ার সামাল দেওয়া যায়নি।
তিন মন্ত্রীকে বরখাস্তও করে মালদ্বীপের চীনপন্থী মোহামেদ মুইজ্জুর সরকার। ওই তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেও নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত দ্বীপরাষ্ট্রটির হাইকমিশনারকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে বেশ উত্তপ্ত ভারত এবং মালদ্বীপের পারস্পরিক সম্পর্ক।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%87-%e0%a6%b8%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%af%e0%a7%87-%e0%a6%85%e0%a6%ad%e0%a6%bf/
এরপরেই শুরু হয় বয়কট মালদ্বীপের ডাক। শতশত ভারতীয় নাগরিকের মতো তাতে যোগ দিয়েছেন ভারতের বিভিন্ন অঙ্গনের তারকারা।