ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ফাইনালে মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) হেরে গেছে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রীতি জিনতার দল পাঞ্জাব কিংস। তার পর থেকে অশ্রুসজল প্রীতির ভিডিও ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে। এ মুহূর্তে অভিনয় থেকে তিনি দূরে আছেন।
প্রীতি ২০১৬ সালে বিয়ে করেন মার্কিন নাগরিক জেন গুডএনাফকে। জেন পেশায় একজন আর্থিক বিশ্লেষক। বলিউড থেকে দূরে স্বামীর সঙ্গে বৈবাহিক জীবন উপভোগ করছেন অভিনেত্রী। ২০২১ সালে সারোগেসির মাধ্যমে মা হন তিনি।
প্রীতির বয়স এখন প্রায় ৫০ ছুঁইছুঁই। এতদিন সবাই জানতেন তার মাত্র দুটি সন্তান। কিন্তু এ তথ্য সর্বাংশে সত্য নয়; প্রীতি আসলে ৩৪ কন্যারও জননী।
বরাবরই সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন অভিনেত্রী। পহেলগাঁওকাণ্ডের পরই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। ‘অপরেশন সিঁদুর’-এর জয়জয়কারও করেছিলেন। বলিউড থেকে একমাত্র প্রীতিই শহিদদের পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। যে সেনারা শহিদ হয়েছেন, তাদের স্ত্রীদের কল্যাণের জন্য এক কোটি টাকা দান করেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি জানা গেছে, সমাজসেবার মানসিকতা খুব ছোটবেলা থেকেই রয়েছে প্রীতির মধ্যে। নিজের ৩৪ বছরের জন্মদিনে তিনি ৩৪ জন কন্যাসন্তান দত্তক নেন। তাদের শিক্ষা ও বেড়ে ওঠার যাবতীয় খরচ তিনি বহন করেন। বছরে দুবার তাদের সঙ্গে সময় কাটান প্রীতি।
একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রীতি জিনতা বলেন, আমি ৩৪ জনকে দত্তক নিয়েছি। তাদের বেড়ে ওঠা, খাওয়াদাওয়া, পড়াশোনার সব দায়িত্ব আমার। আপনারা ভাবতেও পারবেন না এই অনুভূতিটা কী সুন্দর। যখন দেখি— এতগুলো মেয়ে একসঙ্গে ভালো সময় কাটাচ্ছে, আমারও ভীষণ ভালো লাগে।
তিনি বলেন, ‘ওরা আমার সন্তান, ওদের দায়িত্ব আমার। প্রতিনিয়ত ওদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। বছরে দুবার ওদের সঙ্গে সময় কাটাই’।
কন্যাভ্রূণ হত্যা, অসুরক্ষিত পরিবেশে মেয়েদের বেড়ে ওঠার গল্প তাকে গভীরভাবে নাড়া দিত। এ ঘটনাগুলোই তাকে অনুপ্রাণিত করে বলেও জানান অভিনেত্রী।