ভারতের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ও টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। সম্প্রতি সরকারি একটি পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। লোকসভা ভোটের ঠিক আগে যাদবপুরের ‘রোগীকল্যাণ সমিতি’র চেয়ারপারসনের পদ ছেড়ে দিয়েছেন মিমি।
তবে হঠাৎ কী কারণে সরকারি পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন মিমি? এমন প্রশ্ন রীতিমতো রহস্যের জোগান দিচ্ছে অভিনেত্রীর ভক্তদের মনে।
জানা গেছে, নলমুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল ও জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগীকল্যাণ সমিতির পদ ছাড়লেন মিমি। ইতোমধ্যে পদত্যাগপত্রও পাঠিয়ে দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
পদ ছাড়ার কারণ হিসেবে মিমি লিখেছেন— ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত আমার সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। আপনাদের যে সমর্থন আমি পেয়েছি, তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি চেয়ারপারসন হিসেবে চিকিৎসক, নার্স এবং সর্বোপরি রোগীদের কল্যাণার্থে কাজ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।
২০১৯ সালে তৃণমূলের টিকিটে যাদবপুর থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন মিমি। প্রায় ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯৯ ভোটে জিতেছিলেন তিনি।
কিন্তু মিমি সাংসদ হিসেবে পাঁচ বছরে কতটা সফল, তা নিয়ে রয়েছে নানান বিতর্ক। দ্বিতীয়বার কি ভোটের টিকিট পাবেন তিনি? তাছাড়া মিমি নিজে কি ফের ভোটের মাঠে নামতে প্রস্তুত? আপাতত সেই জল্পনা জারি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ শিবপ্রসাদ-নন্দিতার ‘রক্তবীজ’ সিনেমায় দেখা গেছে মিমিকে। এ ছাড়া গেল বছর মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত প্রথম হিন্দি সিনেমা ‘শাস্ত্রী বিরুদ্ধ শাস্ত্রী।’