পুষ্টিগুণে ভরপুর মিষ্টি আলু খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। এই আলুর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ম্যাংগানিজ মেলে উপকারী মিষ্টি আলু থেকে। স্টার্চি এই সবজি ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। মিষ্টি আলু শীতকালসহ সারা বছরই পাওয়া যায়। দেখতে আলুর মতো হলেও রঙে ও স্বাদে ভিন্ন এটি। অন্যদিকে এতে ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই কম।
চলুন জেনে নেওয়া যাক মিষ্টি আলু খেলে কী কী উপকার মিলে-
*মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারোটিন আছে, যা আমাদের দেহে ভিটামিন এ-তে পরিণত হয়। এই ভিটামিন চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে
*বিটা ক্যারোটিনের অভাবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। বিশেষ করে শিশু এবং প্রসূতিদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যায়।
*মিষ্টি আলুতে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
*এতে কোনও ধরনের চর্বিজাতীয় পদার্থ নেই। আঁশজাতীয় মিষ্টি আলু খেলে ক্ষুধা লাগে না সহজে। ডায়েট চার্টে তাই এটি রাখতে পারেন সহজেই।
*গর্ভবতী মায়ের জন্য মিষ্টি আলু খুবই উপকারী। এটি গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি সহায়ক।
*প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে মিষ্টি আলুতে। পটাসিয়াম হার্টের রোগ থেকে দূরে রাখে। পাশাপাশি মাংসপেশির যত্ন নেয়।
*মিষ্টি আলুতে থাকা ফাইবার ব্লাড সুগার ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
*ত্বক ও চুল ভালো রাখতে চাইলে নিয়মিত খান মিষ্টি আলু।
*মিষ্টি আলুতে ক্যারোটিনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা পেট, কিডনি এবং স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
*হৃদযন্ত্র ও স্নায়ুর সুস্থতা বজায় রাখে মিষ্টি আলু।
*কলার চাইতেও বেশি পটাসিয়াম পাওয়া যায় মিষ্টি আলু থেকে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা খেতে পারেন এই আলু। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।