পার্টি হোক বা বিয়েবাড়ি কিংবা সাধারণ ঘুরতে যাওয়া, পেশাদার মেকআপ আর্টিস্টের কাছে সাজার সুযোগ না থাকলেও কম বেশি সবাই মেকআপ করতে পছন্দ করেন। কিন্তু আনকোরা হাতের স্পর্শে যাতে কিম্ভূতমার্কা রূপের সৃষ্টি না হয় তার জন্য দরকার কিঞ্চিৎ মেকআপ ব্যাকরণ জানা। যেমন- রঙ উজ্জ্বল করতে, মুখের দাগছোপ ঢাকতে প্রত্যেকেই ফাউন্ডেশন ব্যবহার করেন। কিন্তু ঠিক মতো প্রলেপ দেওয়ার ট্রিকস না জানায় দাগ ঢাকার বদলে মুখ দেখে মনে যেন দেওয়ালে রঙ করা হয়েছে। তবে সামান্য নিয়ম অনুসরণ করলেই সাজ হবে একেবারে নিঁখুত।
ফাউন্ডেশন বাছাই
সাজ নিখুঁত হওয়ার জন্য দরকার সঠিক রঙের ফাউন্ডেশন। এই জিনিসটি কেনার সময় হাতে নয়, চোয়ালে লাগিয়ে বাছাই করুন। ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী ফাউন্ডেশন আলাদা আলাদা হয়। যেমন তেলতেলে ত্বকের জন্য অয়েল-ফ্রি, ম্যাট ফিনিশ ফাউন্ডেশন দরকার। কেনার আগে সেলস গার্ল বা প্রোডাক্ট বিবরণ পড়ে নিন।
ফাউন্ডেশন লাগানোর আগে মুখ পরিষ্কার করলেই হবে না। ত্বকের পিএইচ বজায় রাখতে তার আগে হালকা ময়েশ্চারাইজ়ার মাখতে হবে বা হাইড্রেটিং মিস্ট স্প্রে করে নিতে হবে। তাতে মুখ হবে মসৃণ।
এরপর আসে মূল ধাপ ত্বকে ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই। পেশাদাররা একেকজন একেক পদ্ধতি ব্যবহার করেন কিন্তু অ্যামাচার মানুষদের জন্য মেকআপ প্রসাধনী ব্যবহারে সেরা পদ্ধতিই ব্যবহার করা উচিত।
হাতের আঙুল
অনেকে মনে করেন হাত দিয়েই ক্রিমের মতো ফাউন্ডেশন মাখাও সহজ কিন্তু এতে সব জায়গায় সমান হয় না। তবে হালকা মেকআপ বা নো মেকআপ লুকের ক্ষেত্রে আঙুলে করে ফাউন্ডেশন নিয়ে হালকা হাতে মুখে ছড়িয়ে দেওয়া সেরা পদ্ধতি। তবে ভারী মেকআপের ক্ষেত্রে এভাবে নিখুঁত টান আনা সম্ভব নয়।
ব্রাশের টান
ফাউন্ডেশন লাগানোর জন্য বাজারে যে মোটা বিশেষ ধরনের ব্রাশ পাওয়া যায়, তা দিয়ে পুরো মুখে রঙ করার মতো মেকআপ মেলানো সহজ। মেকআপে তেমন পটু না হলেও এই পদ্ধতিতে সমানভাবে মেকআপ করা সম্ভব।
স্পঞ্জের কামাল
ফাউন্ডেশনের জন্য মেকআপ আর্টিস্টরা বিশেষ শেপের স্পঞ্জ ব্যবহার করেন। মেকআপ ব্লেন্ড করার এটাই আদর্শ পদ্ধতি। কয়েক পোঁচ ফাউন্ডেশনের ক্ষেত্রে স্পঞ্জ ব্যবহার করে ব্লেন্ড করার পদ্ধতি সহজ ও সেরা।