বার্সেলোনা ছাড়ার আগে মেসি বলেছিলেন, আমাকে ছাড়াও বার্সা এমনই থাকবে, আমিই বার্সেলোনা ছাড়া কিছুই নই। এই কথাটা ঠিক কতখানি ভুল, তার প্রমাণ গত চারবছরে বারবার পেয়েছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। গত চারবছরে একবার মাত্র লিগ জয় করেছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে যাওয়াই হয়নি বিগত দিনগুলোতে। এরমাঝে খেলতে হয়েছে ইউরোপা লিগেও।
শেষ পর্যন্ত দুরবস্থা কেটেছে বার্সার। ৪ বছর পর কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখল কাতালুনিয়ার ক্লাবটি। চ্যাম্পিয়নস লিগে মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগের ম্যাচে ৩-১ গোলে নাপোলিকে হারিয়েছে বার্সা। আর দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ ব্যবধানে জিতে জাভি হার্নান্দেজের দল উঠে গেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে।
আগের লেগে নাপোলির ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে খেলা শেষ হয়েছিল ১-১ সমতায়। অলিম্পিক লুই কোম্পানিস স্টেডিয়ামে ব্যবধান বাড়াতে বার্সার লাগল মোটে ১৫ মিনিট। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরটা বার্সেলোনা ৩-১ বানিয়ে ফেলে ম্যাচের ১৭ মিনিটের মধ্যেই। ১৫ মিনিটে বার্সা উইঙ্গার ফারমিন লোপেজের গোল এগিয়ে দেয় ব্লু-গ্রানাদের। দুই মিনিট পরেই আবার নাপোলির জালে বল পাঠায় বার্সা। এবার স্কোরশিটে হোয়াও কানসেলো।
শুরু থেকে ওই দুই গোল পর্যন্ত ম্যাচে দাঁড়াতেই পারেনি নাপোলি। ম্যাচের নিয়ন্ত্রনও ছিল পুরোপুরি বার্সার হাতে। সেখান থেকেই খোলস ছেড়ে বেরুতে শুরু করল নাপোলি। যার ফলাফল আসে ৩০ মিনিটে। সেন্টার ব্যাক আমির রাহমানির গোলে ব্যবধান কমায় ইতালিয়ান ক্লাবটি। ম্যাচের স্কোর ২-১। দুই লেগ মিলিয়ে যদিও ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে বার্সেলোনা।
গোল খাওয়ার পর আবারও ব্যাকফুটে বার্সা, তবে নাপোলি সুযোগ নিতে পারেনি ফিনিশিং এর অভাবে। বার্সার হাই লাইন ডিফেন্স আটকে রেখেছিল নাপোলির বড় তারকা ওসিমহেনকে। নাপোলিও তাতে আটকাল। সুযোগ পেয়েও ব্যবধান বাড়ানো হয়নি তাদের।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে আসে বার্সার তৃতীয় গোল। সার্জি রবার্তোর পাস থেকে গোল করে বার্সাকে ম্যাচে ৩-১ গোলে এগিয়ে দেন ৩৫ বছর বয়সী পোলিশ স্ট্রাইকার লেভান্ডফস্কি। এর পরে আর নাপোলির পক্ষে ম্যাচে ফেরা সম্ভব হয়নি। ৪-২ অ্যাগ্রিগেটে কোয়ার্টারে চলে যায় বার্সা।