বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়ে শুরু, এরপর কানাডার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে রেকর্ড রানতাড়া করে জয়। ঘরের মাঠে দারুণ ছন্দে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ পাকিস্তানকেও সুপার ওভার থ্রিলারে হারিয়ে দিয়েছে মোনাঙ্ক প্যাটেলরা। টানা দুই জয়ে সুপার এইটের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছে আমেরিকা। সেই সঙ্গে বিশ্বকেও বলতে গেলে বড় বার্তাই দিলো আইসিসির সহযোগী এই দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী ম্যাচ এশিয়ার আরেক জায়ান্ট ভারতের বিপক্ষে। ১২ জুনের সেই লড়াইয়ে রোহিত শর্মাদের হারানো ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না আমেরিকা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ জেতার পর সংবাদ সম্মেলনে আমেরিকার অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, আমরা শুধু একটি খেলাতে ফোকাস করতে চাই। এখন আমাদের ফোকাস থাকবে ভারতের বিপক্ষে খেলা। আমরা এখন আয়ারল্যান্ডকে নিয়েও ভাবতে চাই না, সুপার এইট অনেক অনেক দূরের।’
পাকিস্তানকে হারানো অঘটন কি না প্রশ্নে মোনাঙ্ক বলেন, ‘মানুষ কি বলছে তা নিয়ে আমরা চিন্তিত না। আমরা জানি আমরা কতটুকু কাজ করেছি এবং আমাদের কতটা সামর্থ্য আছে। আমরা শুধু ঐ খেলাতেই ফোকাস করি। আমরা আমাদের আবেগকে বেশি বাড়তে বা কমতে দেই না। আমরা আজকের জয়টা উপভোগ করব এবং পরের দিন আবার নতুন করে শুরু করব।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের দেশের ক্রিকেটকেও অনেক এগিয়ে নিয়ে যাবে দাবি অধিনায়কের, ‘অবশ্যই পাকিস্তানকে হারানোটা আমাদের জন্য অনেক দরজা খুলে দেবে। টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করা এবং এখানে পারফর্ম করা- এটা নিশ্চয়ই যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেবে।’
আমেরিকার বিপক্ষে পাকিস্তান হেরে যাবে তা ভাবতে পারেননি অনেকেই। হয়তো আমেরিকার সমর্থকরাও ভাবেননি এভাবে জিতবেন তারা। কিন্তু সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছেন মোনাঙ্করা। কানাডার পর পাকিস্তানকে হারিয়ে গ্রুপ শীর্ষে এখন তারাই।
গ্রুপ এ-তে ভারত, পাকিস্তান, আমেরিকা ছাড়াও রয়েছে আয়ারল্যান্ড এবং কানাডা। আয়োজক দেশ হিসাবে সুযোগ পাওয়া আমেরিকা যে এই গ্রুপের শীর্ষে থাকতে পারে তা ভাবাই যায়নি। কিন্তু ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এখন তারাই। বাকি দলগুলো যদিও একটি করে ম্যাচ খেলেছে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে আমেরিকার অধিনায়ক মোনাঙ্ক ৩৮ বলে ৫০ রান করেন। ইনিংসটি সাজানো সাত চার এবং একটি ছক্কার মারে। দলের হয়ে সব থেকে বেশি রান আসে তার ব্যাট থেকেই। কিন্তু মোনাঙ্ক কৃতিত্ব দিলেন দলের বোলারদের। তিনি বলেন, ‘বিরাট সাফল্য। প্রথমবার পাকিস্তানকে হারালাম আমরা। এটা দলগত সাফল্য। টস জিতে আমরা পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতে পেরেছি। আমাদের বোলাররা পাকিস্তানকে ১৬০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে পেরেছে। দলের জয়ে নিজে অবদান রাখতে পারায় খুশি, তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে দল জেতায়।’