নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিনামূল্যে পর্যটকরা দেখতে পারবেন না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠান চলাকালীন সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছে তারা।
ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চরমপন্থী গোষ্ঠী ও তাদের কর্মীদের আক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। সেইসাথে রাশিয়ান সাইবার আক্রমণসহ সম্ভাব্য একাধিক হুমকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ফ্রান্স গত এক দশক সময় ধরে ইসলামি চরমপন্থীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে সন্দেহভাজন এমন এক চরমপন্থী একটি স্কুলে প্রবেশ করে একজন শিক্ষককে ছুরিকাঘাত করার পর দেশটিকে সন্ত্রাসী হামলার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতায় উন্নীত করা হয়।
অভিযোগ উঠে, গত সপ্তাহে এক ব্যক্তি প্যারিসের টাউন হলের এক কর্মীর কাছ থেকে প্যারিস অলিম্পিকের নিরাপত্তা পরিকল্পনা চুরি করে। এর দায়ে তাকে সাত মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাছাড়া, অন্যান্য নিরাপত্তা হুমকির জন্য ফ্রান্স এখন উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
এর আগে অলিম্পিক আয়োজনের বিষয়ে ফ্রান্স জানায়, পর্যটকসহ প্রায় ৬ লক্ষ দর্শককে ধারণ করা সম্ভব হবে আশা করা হচ্ছে। যার বেশিরভাগই বিনামূল্যে করার পরিকল্পনা ছিল। এখন সেখানে কোটা সিস্টেমের মাধ্যমে এবং এবং অলিম্পিকের আসর বসবে এমন শহরগুলো বেছে বেছে সেখান থেকে বাছাই করা মানুষের মধ্যে থেকে মোট ২ লক্ষ ২২ হাজার জন বিনামূল্যে অনুষ্ঠানটি দেখার সুযোগ পাবেন।
তবে হঠাৎ করেই পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনলো তারা। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দর্শকদের মধ্যে বৈচিত্র্য আনতে সহায়তা করবে।
এএফপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অলিম্পিক পরিকল্পনা নির্বাহী ল্যাম্বিস কনস্ট্যান্টিনিডিস বলেন, উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন প্রতিনিধিদের জন্য বিশেষ সুরক্ষার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানটি স্টেডিয়ামে না হয়ে সেইন নদীর তীরে হবে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘গেমস ওয়াইড ওপেন’।
আগামী ২৬ জুলাই থেকে অলিম্পিক গেমস শুরু হবে। এসময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুরো ইভেন্ট জুড়ে কয়েক হাজার পুলিশ কর্মকর্তা ও সেনা মোতায়েন থাকবে।