কবজি ডুবিয়ে খানাপিনার জন্য একেবারে উপযুক্ত বলা যায় শীতের সময়কে। আর ঠান্ডায় এমন খাবার নির্বাচন করা উচিত, যা আমাদের শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে। আর এ খাবারগুলো বাড়ির রান্নাঘরেই কমবেশি সবসময় পাওয়া যায়।
জেনে নিন নামগুলো-
গুড়: এ খাবারটি একাধিক কৌশলে ব্যবহার করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গুড়ের চা, গুড়ের ক্ষীর ইত্যাদি। গুড় হলো এমন খাদ্যসামগ্রী, যা শীতের দিনে বেশ গরম প্রকৃতির হয়। আবার গরমের দিনে গুড় ঠান্ডা প্রকৃতির হয়। ফলে দুই মৌসুমেই তা খাওয়া যেতে পারে।
স্যুপ: বিভিন্ন অসুস্থতায় মুরগির স্যুপ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এটি ঠাণ্ডার সময় প্রদাহরোধী হিসেবে কাজ করে। স্যুপের প্রদাহরোধী এবং নিরাময়কারী গুণ আধুনিক আবিষ্কার নয়। বহু আগে থেকেই বিষয়টি মানুষের জানা রয়েছে।
গোলমরিচ: শীতের দিনে গোলমরিচ খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি হতে পারে। এটা সর্দি আর কাশির মতো সমস্যাও দূর করে। এর পাশাপাশি গোলমরিচের কাড়া সেবন করলে ওজন কমে।
লবঙ্গ: শীতের জন্য উপযোগী আরেকটি খাবার হলো লবঙ্গ। লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াস এবং অ্যান্টিসেপটিক-ধর্মী উপাদান। এই উপাদানগুলো বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম। ফলে সর্দি-কাশি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও শুকনো কাশি দূর করতে লবঙ্গ চা অতুলনীয়। কারণ লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। আর এই দুই উপাদান শুকনো কাশি নিরাময় করতে অত্যন্ত কার্যকর।