বয়সটা ৪১ পেরিয়েছে অনেক আগেই। তবে এখনও বল হাতে নিজের দাপট দেখিয়ে যাচ্ছেন জেমস অ্যান্ডারসন। এবার প্রথম পেস বোলার হিসেবে ৭০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এই ইংলিশ পেসার। ধর্মশালা টেস্টে ভারতের প্রথম ইনিংসে দুই উইকেট শিকার করে এই কীর্তি গড়েন তিনি।
এই টেস্টে খেলতে নামার আগে জেমস অ্যান্ডারসনের টেস্ট উইকেট সংখ্যা ছিল ৬৯৮টি। শুভমান গিলকে বোল্ড করে মাইলফলকের আরও কাছাকাছি যান এই পেসার। এরপর কুলদীপ যাদবকে ফিরিয়ে ৭০০তম টেস্ট উইকেটের এলিট ক্লাবে নাম লেখালেন অ্যান্ডারসন। সবমিলিয়ে তিনি তৃতীয় বোলার। তার আগে মুত্তিয়া মুরালিধরন ও শেন ওয়ার্ন এই ক্লাবের সদস্য হয়েছেন।
এর আগে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে ৭০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মুরালিধরন। টেস্টে ৭০০ উইকেট পেতে এই লঙ্কান স্পিনারের লেগেছিল ১১৩ টেস্ট। ওয়ার্ন মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন নিজের ১৪৪তম ম্যাচে। আর অ্যান্ডারসনের লাগল ১৮৭ ম্যাচ।
৮০০ উইকেট নিয়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় সবার ওপরে আছেন মুরালিধরন। ৪১ বছর বয়সী অ্যান্ডারসনের সামনে এখন ৭০৮ উইকেট নেওয়া ওয়ার্ন।
ইতিহাসের প্রথম বোলার হিসেবে ২০০৬ সালে মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে ৭০০ টেস্ট উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েছিলেন ওয়ার্ন। বছর খানেক পরই এই এলিট ক্লাবে নাম লেখান মুরালিধরন। লঙ্কান এই স্পিনার বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যান্ডি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ ব্যাটসম্যান সৈয়দ রাসেলকে আউট করে ৭০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছান।
এরপর দীর্ঘ ১৭ বছর পর ৭০০ উইকেটের ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন এই ইংলিশ পেসার। দুই স্পিনারের এমন কীর্তিতে প্রথম পেসার হিসেবে যোগ দিলেন অ্যান্ডারসন।
আরেকটি দিক থেকেও অনন্য অ্যান্ডারসন। ৪১ বছর বয়সী এই ইংলিশ পেসার সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ হিসেবে ৭০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। ওয়ার্ন ও মুরালির দুজনেই ৭০০ উইকেট পেয়েছেন ৪০ বছরের কম বয়সে।